পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরকারি কোটার সরঞ্জাম নিয়ে বাইরে রোয়াকে তার সামনে এসে বসে লক্ষ্মী গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলে,”আবার কি হল ? : মোদের মতলবটা ফেঁসে গেল। আস্তে কথা কণ্ড। কেন ? নিজের সুবিধার জন্য ধর্ম পালটানো যায় না । ধর্মটাও দশজনের জিনিস । লক্ষ্মী মুখ তোলে না, বঁটির ফলাটার দিকে তাকিয়ে থেকেই সে বলে, তা छ्हत मा, अभि भन्म ठैिक कटुन्न 6क्टुब्लछि । কৈলাস মাথা নাড়ে, সে হয় না । হিসেবে মস্ত ফাকি রয়ে গেছে। আমি চালাক বাবুদের মত হিসেব কষে বসেছি। থিয়োরিটা খাড়া করেছি। ভিন্ন করে, অবস্থাটা যাচাই করেছি। ভিন্ন করে, দুটাে মেলাইনি। মেলাতে গিয়ে দেখছি, বাবা, এ যে বিষম ফাদ। ধর্ম শিকড় গেড়ে জাকিয়ে রয়েছে দেশে, তুমি আমি বললেই তো বাতিল হবে না। ধর্ম পালটালে নতুন ধর্মকে তুলে ধরতে হবে, গুণগান করতে হবে । মোরা সত্যি সত্যি নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্ম পালটাব, লোকে যাতে সেটা না ভাবে সেজন্য আরও বেশী করে গলা চড়িয়ে গুণগান করতে হবে । নইলে খেলো হয়ে যাব লোকের কাছে। ধর্মটর্ম যদি নাই মানি মোরা, ধর্মকে কাজে লাগাতে যাব কোন মুখে ? লোকে ছিা ছি করবেই। ধারালো বঁটিতে ভাড়ালি কুটে যায় লক্ষ্মী । কৈলাস বলে, জীবনবাবুর মতই দশা হবে মোর। শুভর চাকরিটা নিয়ে বেচারাকে মুখ বন্ধ করতে হয়েছে। ধর্ম পালটে তোমায় পেলে মোকে হতে হবে সাম্প্রদায়িক । না হলে, লোকে জানবে, এ মানুষটা শস্ত সুবিধাবাদী । লক্ষ্মী বলে, তবে থাক । লক্ষ্মী একদিকে পরম স্বস্তি বোধ করে, আবার প্রাণটা তার জলেও যায়। কৈলাসের আচরণে। কৈলাস নিজেই বুঝেছে যে, যেভাবেই হোক নিজের সুখটা বাগিয়ে নেবার উপায় তার নেই। তাতে নিজেরই খাটি সুখে বাদ সাধা। হবে-এতে স্বস্তি লক্ষ্মীর । আবার তাকে এমন করে নাচিয়ে এমন আচমকা Sap ইতিকথা-১৩