পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবহেলায় আহত হয়ে একদিন শুধু একটু ঝগড়া করেছে গায়ে পড়ে। : , 'তৰু কৈলাস তাকে সব শোনায়! তাদের গোপন প্রেমের সমস্যা নিয়ে নন্দর সঙ্গে সে পরামর্শ করেছে শুনে কিন্তু রাগ হয় না লক্ষ্মীর, লজ্জায় গায়ে কঁাটাও দেয় না । ,

  • বরং তাদের কি কথা হয়েছে শুনতে শুনতে স্বস্তি বোধ করে লক্ষ্মী । স্বস্তি বোধ করে এইজন্য যে দেশের কোটি কোটি মানুষের বেঁচে থাকার সমস্যাগুলি বজায় থাকতে তাদের সমস্যার কোন সমাধান সম্ভব নয়-এটা কৈলাস এবার স্পষ্ট পরিষ্কারভাবে বুঝেছে।

একটা বিশেষ কথা কৈলাস বুঝেছে কিনা সে বিষয়ে তার একটু খটকা থেকে যায়। কৈলাস নিজেই কথাটা তুলে তাকে নিশ্চিন্ত করে। বলে, দুষ্ঠাখো, থানার ঘড়িতে দশটা এগারোটা বাজিয়ে তোমার কাছে আসতে পারি। আমরা তাতে মন্দ হয়ে যাব না। হৃদয়ে তোলপাড় ওঠে লক্ষ্মীর । টের পায় সর্বাঙ্গ তার ঘামতে আরম্ভ (SCSC কৈলাস বলে, লুকিয়ে এলাম, শ্যাল-কুকুরও টের পেল না । ভগবান যদি থাকেনও তবু তার দুটি চোখ কানা ! কিন্তু একটা দিন দুটাে দিন এলেই কি মোরা ধন্যি হয়ে যাব, সাপ মিটে যাবে ? মদের স্বাদ পেলে নেশা চড়তে থাকে, মোদের হবে। আরও বিষম নেশা । জানাজানি হয়ে যাবেই ৷ লক্ষ্মীরা যেন ঘাম দিয়ে জর ছাড়ে । কৈলাস বলে, সবাইকে ডোণ্ট কেয়ার করে তোমায় নিয়ে ঘর বাধা আর রাতের বেলা লুকিয়ে আসা এক কথা। তার চেয়ে তুমি আমি বুক বাধি এস। মহিমাটা জেলে পচিছে, গাদাকে তাই বুক বাধতে হয়েছে। সারা দেশের লোকের সাথে আমি জেলের চেয়ে বড় ফ্রাদে আটক পড়েছি ভেবে তুমি বুক বাঁধবে। কপালের ক্ষতচিহ্নটা আঙলে টিপে লক্ষ্মী বলে, আর তুমি ? কৈলাস বলে, আমি ? আমার বুক বাধাই আছে! R O O