পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলেছিল, ছেলে হয়ে বঁাচে না বলে ফের বিয়ে করব ? মাইরি না! : ; বলে জেলে গিয়েছিল দু’মাসের জন্য। - বিরূপ দেবতাটার কাছে আর মানত করেনি। দয়া। দু-দুটো শোকার্তৰীভৎস ফাকিতে তার ভক্তিশ্রদ্ধা টুটে গিয়েছিল সেই দেবতার ওপর। তবে একেবারে মানত না করে সে পারেনি। সাতনালির বড় শাসমলদের ছোট মন্দিরের মেয়েদেবতার নামে মানত করেছিল-দুটো সন্তান মরে যাওয়ায় কি ভয়ঙ্কর বিদ্রোহ দয়ার স্ব-মানত করেছিল এক দল মাটি, একশো তেঁতুলিবীচি, দশটি কলকে-ফুল আর ছেলে হয়ে যদি বেঁচে-বর্তে থাকে। তবে তার পাঁচ বছর বয়সে একটি কঁচা-কুমড়ে । এখন মাটি খাও বীচি খাও ফেলনা ফুল খাও দেবী, যদি খাবার সাধ থাকে। তবে তার কোলে ছেলে দিয়ে পাঁচ বছর বঁচিয়ে রাখো, কুমড়ে মিলবো! দেবী হও আর যাই হও, ফাকি দিলে চলবে না। দয়াকে । জেল থেকে বেরিয়ে স্বরাজ ফসকে যাবার হতাশার প্রতিক্রিয়ায় কিনা বলা যায় না, আরেকটা বিয়ে করবার মতলব ঘনরাম স্থির করে ফেলেছিল। দয়ার অনুমতি নিয়ে তো বটেই, অনেকটা তার তাগিদেই ঘনরাম বিয়ে করেছিল রামপুরের কান্তিকের মেয়ে বেঙিকে। বড় মধুর ক্ষমাশীল প্রকৃতি দয়ার । কিন্তু সতীন আসবার সব ঠিকঠাক হবার পর হঠাৎ কেমন বিগড়ে গিয়েছিল দয়া, থেকে থেকে গালাগালি করেছিল ঘনরামকে, স্পষ্ট ঘোষণা করেছিল। সে যে ভাবে হোক মারবে সতীনকে, মারবেই । কেঁদেছিল, অভিশাপ निम्रछिल अनूठेटक। ঘনরাম বলেছিল, তবে নয় থাক ! থাকি ! ভোঙিয়ে বলেছিল দয়া । -বিয়ে যেন ঠেকে থাকবে ! মাঝ থেকে মরণ হবে মোর। মোকে মেরে ড্যাংডেঙিয়ে বৌ আনবে তুমি। তার সম্বন্ধে দুর্ভাবনা ছিল সকলের কিন্তু বৌ নিয়ে ঘনরাম ফিরে আসতে দেখা গেল তার এতটুকু রাগ নেই, ঝাঝি নেই । তারপর একদিনও আর সে হিংসায় পাগলের মত ছটফট করে নি। ওই কয়েকটা দিনের মত। বেডিকে সে কাছে ডেকে বসােত, তাকে দিয়ে উকুন বাছাত, তেলের অভাবে শুধু জল $ e bም