পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ে চুল বেঁধে দিত। কোন রাতে শোয়ার আগে ঘনরাম বসে তার সঙ্গে দুদণ্ড কথা কইত সংসারের নানা বিষয়ে, ভাব দেখাত। যেন বেঙির দিকে নজরও নেই, খেয়ালও নেই বেঙির কথা। দয়া হাই তুলত, ঘুম পেয়েছে জানিয়ে শাশুড়ীর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ত। বেঙিকে বলে যেত, যা যা, শো গে” যা কালামুখী । বছর ঘুরতে যদি কোল খালি রয়, তোর মাথা ছেচে দেব। তিন বছর পরে দশ মাসে ছেলে হতে গিয়ে বেঙি মরে গিয়েছিল। তখন মানতে হয়েছিল ঘনরামকে যে ছেলে হয়ে না বঁাচাটা দয়ার দোষ নয়। তারই ছেলেপিলে বাঁচবে না। এটাই অদৃষ্টির বিধান। ঘনরাম প্রাণপণে চাষ করে, উদয়াস্ত সংসারে কাজ করে দয়া । ভারি ভারি সব কাজ। ম্যালেরিয়া কাবু করেছে লোচনের বৌকে-সে বেশী খাটতে পারে না। তবু মনে হয়। গাদাকে সামলে চলা ভুলিয়ে রাখা চোখে চোখে রাখাই যেন দয়ার আসল কাজ। গাদাকে দিয়ে সে হালকা কাজ করায়, তার সাথে ঘাটে যায়, এক সাথে খায়, তার চুল বেঁধে দেয়—আর বুঝিয়ে সুঝিয়ে বকুনি দিয়ে শাসিয়ে তাকে আয়ত্তে রাখতে চায়। জালার তার শেষ নেই ছোট জা-টিকে নিয়ে। তার অবাধ্যতা আর ধিঙ্গিাপনা গায়ে তার জালা দেয় রোজই । ভাসুরের সঙ্গে সে কথা বলবে যে বলবেই ! ঘোমটা টেনেই কথা বলে বটে, কিন্তু কি দরকার তার সোজাসুজি ঘনরামের সঙ্গে কথা বলার ? কিছু বলার থাকলে দয়ার মারফতে বললেই হয় ! একলা এবাড়ি ওবাড়ি যাবেই-নন্দ ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত যাবে ! দয়াকে কিছু না বলে এক র্যাকে চলে যাবে। তোর ভয়ডর নেই পোড়ামুখী ? একলাটি পেয়ে একদিন তোর দফা যে নিকেশ করবে। কেউ । তত বুকের পাটা নেই কারো। ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে না। গায়ের মানুষ ? শ্বশুর-শাশুড়ী কিছু বলে না । শাসন করতে বললে বলে, না না বাছা, Roo ইতিকথা-১৪