পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈলাস কিভাবে যেন চিরকুট পাঠিয়েছে, জবাব আনিয়েছে। মোরা যেন জানতে চাইনি, কৈলাস নিজে শুধিয়ে পাঠিয়েছিল। দয়া মুখ বাকিয়ে বলে, কী যে কাণ্ড তোমাদের বুঝিনে বাবা। বাপ রয়েছে, বড় ভাই রয়েছে।--বেীকে বাপের বাড়ি পাঠাবো। কিনা। হুকুম চাইতে হয় ! তা শুধোতে হবে না ? মনের খেদে ছোড়া রোজগার করতে ঘর ছেড়েছিল, সেটি ভুললে চলবে না কি ? বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেব-ছোড়া ভাববে এই অজুহাতে ভাতকাপড় দেবার দায় কাটিয়েছি। দীপের আলোয় তারা কথা কয় । ঘনরাম ভাবে কে জানে কিভাবে বাপের ঘরের মায়া একেবারে কেটে গেছে। দয়ার ! আগে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য সে যেন উদগ্রীব হয়ে থাকত, এই নিয়েই তাদের ঝগড়া হত। সবচেয়ে জোরালো । আজি কতকাল সেই দয়া বাপের বাড়ির নামও করে না ! এ মাসেই তার নিজের বোনের বিয়ে, ঠিক ধান কাটার সময়। বোনের বিয়ে সোজা ব্যাপার! আগে হলে দয়া কমপক্ষে এক মাস আগে বাপের বাড়ি যাবার জন্য পাগল হয়ে উঠত। এবার সে নিজেই ঠিক করেছে ঘনরামের সঙ্গে ঠিক বিয়ের সময় দু-চার দিনের জন্যে যাবে, তার সঙ্গেই ফিরে আসবে। যদি অবশ্য যাওয়া হয় ঘনরামের । জোর করে। ধান কেনা নিয়ে ও সময়টা হাঙ্গামা হলে হয়তো তার যাওয়াই হবে না শালীর বিয়েতে । দয়াও যাবে না। তাহলে । গাদার জন্য খুতখুতোনি হয়তো একটু আছে তার মনে। ঘনরাম যে সেরকম মানুষ নয় একেবারে, গাদাকে নিয়ে কোন রকম কুচিন্তা মনে আসা দূরে থাক এরকম বীভৎস চিন্তার ছায়াটুকু মনে এলে গা যে ঘিন-ঘিন করবে-এটা দয়ার ভালো করে জানা আছে, তবু । পুরুষ সম্পর্কে ওই যে একটা কথা হয় ষে মুনিরও মতিভ্রম ঘটে, পুরাণে যার অনেক কাহিনী আছে, সে কথাটা বেচারা একেবারে বাতিল করে দিতে পারে না। আগে থেকে কিছু ভেবেচিন্তে নয়, তিলমাত্র কামনা কখনো স্বপ্নেও জেগেছে বলে নয়, কোন এক অলক্ষুণে মুহুর্তে ঘটনাচক্রে হঠাৎ যদি অঘটন ঘটে যায়! Ròd