পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌয়ের হাতে বালা আছে। ছেলের হলে ওটাও বেচে দিত। এ কথায় সায় দেয় ঘনরাম । দয়া তার আসল কথার প্রতিবাদ করেনি, সে বলছে। অন্য কথা, সংসারে ছেলে আর মেয়ের জীবনের দামের তফাতের কথা । রোগের অব্যর্থ ওষুধ থাকলেও, আপনজনের প্রাণ বাচানোর সুনিশ্চিত উপায় আছে জানলেও, অঘোরের মত সাধারণ অবস্থার মানুষ পর্যন্ত সে সুযোগ নিতে পারে না। দশ দিকের টান সামলে চলতে হয় তাকে, পঞ্চাশ-ষাটি টাকা চালের দরের মত সব মারাত্মক টান। গরীবের আর কথা কি । এ নিয়ে তার সঙ্গে মতভেদ নেই। দয়ার। কাল-পরশুই যে ক্ষেতের ধান কাটা শুরু করতে হবে এ বিষয়েও নয়। ऊाछे ধান আর ধান সিজ করা নিয়ে গোলমালের সম্ভাবনার কথা বলতে বলতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। দুজনেই ভালবাসা ভুলে গেছে ! কত স্থূল নীরস জীবন দয়ার ! জাকালো প্রতিবাদসভা হবে ওবেলা, গাদার প্রাণে পর্যন্ত উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে টের পাওয়া যায়, দয়ার মধ্যে যেন কোন সাড়া নেই। পা টেনে টেনে সে সংসারের কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে চিন্তিত ভাবে গাদার দিকে তাকায় । বলে, তোর সভায় গিয়ে কাজ নেই। আজ, বুঝলি ? হাঙ্গামা হবে। অন্ত মদানি দরকার নেই । গাদা কথা কয় না । দয়া তার মানে জানে। ফাক পেলেই তার চোখ এড়িয়ে গাদা সভায় পালাবে, মেয়েদের মধ্যে যতদূর সম্ভব? সামনে এগিয়ে বসবে, মন দিয়ে বক্তৃত। শুনবে যাত্রা শোনার মত ! ক্ষমতা থাকলে চ্যালকাঠ দিয়ে গাদার পিঠের চামড়া দয়া তুলে নিত। লক্ষ্মীর পাত্তা পেয়েই সে ঝোঁঝে ওঠে, কি যে আরম্ভ করেছিস তোরা, মেয়ে-বেী ঘরে থাকতে দিবি না। RS 8