পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাড়ি নিয়ে প্রায় রোজ কলকাতায় যায়। কিন্তু মায়ার সঙ্গে তার দেখা হয়। DLE OOS SDqLHGL D KBB DDDS শহরে সে খুজে বেড়াচ্ছে নিজের জীবন ও প্রতিভা সার্থক করার সঠিক পথ। তাকে ঘুরতে হয়, নানা লোকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও • আলাপআলোচনা করতে হয়, নানা সম্ভাবনার বিষয় যতটা পারে যাচাই ও বিবেচনা করতে হয়-নিজের মনে গভীরভাবে চিন্তা করতে হয়। সে যে খুব ব্যস্ত তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে মায়ার জন্য আরও বেশী সময় যে সে খরচ করতে পারে না। তা নয়। জোরালো ইচ্ছা যে জাগে না তাও নয়। আসলে, মায়ার সঙ্গে বেশীক্ষণ কাটালে তার ব্যাকুলতা বেড়ে যায়। ভিতরের অস্থিরতা বেশী রকম কষ্টকর হয়ে দাড়ায় । মায়া কাছে থাকলে প্রতিটি মুহুর্তে সে অনুভব করে যে মায়া আশা করছে, একটু অধীরভাবেই আশা করছে যে এবার সে কিছু করবে। সেটা বড়ই পীড়াদায়ক হয় তার পক্ষে । সাত দিন দেখা হয়নি দুজনের। রাত্রে হোটেল থেকে সে মায়াকে ফোন করে দেয় যে পরদিন সকালে সে তাদের বাড়িতে চা খেতে যাবে। কোথা থেকে কথা বলছ ? হোটেল ? হোটেল কেন ? সকালে কাজ আছে তাই ফিরে গেলাম না । বেশ তো, কিন্তু হোটেল কেন ? এখানে আসতে পারলে না ? চলে এস, রাত বেশী হয়নি । শুভ বিব্রত হয়ে বলে, সকালে এখানে একজনের সঙ্গে অ্যাপিয়েণ্টমেণ্ট আছে । বেশ তো, এখানে খেয়ে তুমি তোমার হােটেলেই ফিরে যে ও । খানিকহ্মণ । গল্প করা যাবে । সারা দিন ঘুরেছি, বড় টায়ারড ফীল করছি মায়া। টায়ারড ফীল করছ নাকি । আচ্ছা, আমিই আসছি গল্প করতে ।