পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার পছন্দ নয়। এক হিসেবে তোমাকে বয়াটে বলাই উচিত-তুমি সিরিয়াস বয়াটে । মায়া ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি শুভকে মিনতি জানায়, শুভ.! তুমি মুখ খুলে না । আর আলোচনায় কাজ নেই । শুভ বলে, বেশ । আমি চুপ করলাম। মায়া ভাবে, আলোচনায় কথা-কাটাকাটিই সার হল। শুভকে না ডাকলেই उठाएल श्ऊ ! শুভও তাই ভেবেছিল। বারতলা ফিরতে ফিরতে মনের জ্বালা জুড়িয়ে এলে তার খেয়াল হয় যে ভূদেবের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি নিছক লোকসান দাড়ায়নি। একটা লাভ হয়েছে । একটা দামী কথা এসেছে এই আলোচনা থেকে । সে তার বক্তব্য ভূদেবকে বুঝিয়ে দিতে পারেনি। ভূদেবের কথাও তার কাছে ঠেকেছে। যুক্তিহীন, অর্থহীন ! কী অদ্ভুত ব্যাপার। এটা ? শিক্ষাদীক্ষা রুচিরীতি নীতি আর জীবনের মূল্যবোধ ইত্যাদির হিসাবে নিজের শিক্ষিত জমিদার বাপের চেয়ে ভূদেব বরং তার ঢের বেশী নিকট মানুষ, আপন মানুষ। বিলাতে ভূদেবের চেয়ে সে বিজ্ঞান খানিকটা বেশী শিখেছে আর ফিরবার পথে বিজ্ঞানের উন্নতি দেখে আসবার জন্য মাসখানেক সোভিয়েট দেশটা বেড়িয়ে এসেছে। এ ছাড়া এমন কি দুস্তর ব্যবধান আছে তাদের মধ্যে ? দু-দিন আগেও ঝোকের মাথায় ড্রিঙ্ক করে হঠাৎ গিয়ে হাজির হওয়ার পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে তারা আত্মার আত্মীয়, পিতাপুত্রের মত আপন ! তাদের আসল পার্থক্য শুধু এইটুকু যে তারা এক পুরুষ। আগের আর এক পুরুষ পরের মানুষ। কিন্তু আজ তো জীবনের অতীত ভবিষ্যৎ আদর্শ আর উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রায় স্পষ্টই দেখা গেল তারা দু-জগতের মানুষ ! নিদারুণ অমিল তাদের চেতনায়। বাস্তব জীবন নিয়ে পরস্পরের কথা তারা বুঝতে পারে না । শুভর মনে হয় সে সুত্র পেয়ে গেছে—তার সব সমস্যার সমাধানের সুত্র। গাছের ফলটা উপরে না উঠে মাটিতে পড়ল কেন প্রশ্ন জাগার মধ্যে যেমন RR