পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একজনের জুটেছিল বিরাট এক সমাধানের সূত্র, ভূদেব আর তার বোঝা-পড়ার খেই কেন হারিয়ে গেছে। এই প্রশ্নের মধ্যে সে খুজে পায়ে তার সমস্যা বুঝতে পারার সুত্র । মীমাংস খুজে পাবে কিনা এখন তার জানা নেই। তা হোক, ব্যাপারটা বুঝতে পারলে এই অনিশ্চয়তা আর ব্যাকুলত থেকে তো সে রেহাই পাবে। জীবনের বিরাট সমারোহ চারিদিকে, তার মধ্যে কেন নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছে না, যা চায় তা অসাধারণ কিছু না হলেও বাস্তবে কেন তার হদিস পাচ্ছে না, এটা না বোঝা পর্যন্ত তার শান্তি নেই। আর একটা লাভ হয়েছে আজ এবং সেটা তুচ্ছ হওয়া উচিত নয় কোন কারণেই । অথচ হিসাবট মনেও আসে না। শুভর ! মায়ার হৃদয়মনের অজানা পরিচয় জেনে ফেলে আজই সে অপূর্ব রসালে পুলক বোধ করেছিল। কয়েক ঘণ্টা আগে, মায়াকে নতুন করে ভালবাসার মত। মায়ার জন্য টানটা কেমন শুকিয়ে হয়ে উঠেছিল দড়ির বাধনের মত, ছাতি-ফাটা তৃষ্ণার সময় হঠাৎ এক গেলাস জল খেতে পেলে যেমন লাগে তেমনি সুখ আর আরাম সে পেয়েছিল নিবিড় মমতার অনুভূতিতে মনটা সরস হয়ে ওঠায়। এই রাসটুকু প্রেমের আসল বস্তু, জীবনে বাস্তব কাব্যের মূল উৎপাদন। এটা সত্যই অমূল্য লাভ, কিন্তু এ রসের স্বাদটা কখন যে মন থেকে চলে গেছে! শুভ সোজা বাড়ির দিকে রওনা হয়। টানটা বাড়ির নয়, কয়েকখানা বইয়ের । দশ-বার দিন বই ক-খানা কিনেছিল, নানা বন্ধটে পড়া হয়নি । বিশেষভাবে দু-খানা বই পড়ার জোরালো তাগিদ সে বোধ করছে। ভূদেব আর তার মত ও চেতনার অমিলটা কি আর কেন বুঝতে হয়তো সাহায্য হবে। বইয়ের টান, নিজের ঘরে একান্তে মন দিয়ে বই পড়ার তাগিদ, মায়ার জন্য নাড়ীর টান ভুলিয়ে দিয়েছে। বারতলা লেভেল ক্রসিং-এ সে যখন পৌছল, তখনও খানিকটা বেলা অবশিষ্ট আছে । ট্রেন আসবে বলে লেভেল ক্রসিং-এর গোট বন্ধ ছিল । শেষবেলার RRbr