পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VGs J. s ব্যাপার ঠিক বুঝতে পারে না। প্রৌঢ় ভূতনাথের বুকটা নানা আশঙ্কায় ধড়ফড় করে। জগদীশ হাতের সিগারেটটা অ্যাশ-ট্রেতে নামিয়ে রেখে পাথরের গেলাসটা আর একবার মুখে ঠেকিয়ে কেস থেকে নতুন একটা সিগারেট নিয়ে ধরিয়ে বলে ইনি বলছেন শুভ নাকি মিটিং-এ আমার নামে যা-তা বলেছে। * ভূতনাথ কথা কয় না । সে পাকা লোক, সে জানে শুভর মত ছেলের সম্পর্কে জগদীশের মত বাপের এরকম প্রশ্নের জবাব চট করে দিতে নেই। জগদীশ অসহিষ্ণু হয়ে বলে, কি হল, চুপ করে রইলে যে ? অত্তেজগদীশ বোমার গর্জনে কেটে পড়ে, ইয়াকি দিও না ভূতনাথ, কী বলেছে। শুভ ? ভূতনাথ ধীরে ধীরে হাত জোড় করে বলে, ছোটবাবুর নামে কিছু বলা উচিত নয়, আপনি হুকুম দিলেন। তাই না বলেও উপায় নেই। ছোটবাবু বললেন, আপনি যদি অন্যায় করেই থাকেন, আপনাকে শাসন করে দিবেন, ভবিষ্যতে আপনি যাতে কিছু না করেন তার ব্যবস্থা করবেন। বলব কি বাবু, “ছোটবাবু ওভাবে সভায় দাড়িয়ে বলতে পারেন। আপনার নামে পাথরের গেলাসে আরও খানিকটা রস ঢেলেছিল। জগদীশ, গেলাস মুখে না। তুলে সে মাথা হেঁট করে। বলে, আচ্ছা, তুমি যাও ভূতনাথ । ভূতনাথ চলে যাবার পর জগদীশ শোবার ঘরে সিন্দুক খোলে। সাবিত্রী বলে, কাকে দেবে গো টাকা ? করুণভাবে মৃদু প্রশ্নের সুরে বলে। জগদীশ পাছে চটে যায়। জীবনকে কয়েকটা টাকা দেব । তুমি খালি ওকেই টাকা দাও। R\e