পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষীণ অভিমান জমতে জমতে মিলিয়ে যায় শুভর মার। জগদীশ কথাও; तव्य की । জীবনের হাতে পঞ্চাশ টাকার নোট দিয়ে জগদীশ বলে, আচ্ছা তুমি যাও। : নির্জন ঘরে কয়েক মিনিট জগদীশ চুপচাপ বসে থাকে । রসািভরা পাথরের গেলাস মুখের মুখের কাছাকাছি নিয়েও নামিয়ে রাখে। না, আগে কর্তব্য পালন করতে হবে । গটগট করে শুভর ঘরে যায়। শুভ মশগুল হয়ে বই পড়ছে দেখে মাথায় যেন তার আগুন ধরে যায় । বলে, শুভ, এই মুহুর্তে তুমি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। আজ থেকে তোমার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তুমি আমার খাবে পরবে। আর সভায় দাড়িয়ে আমায় গালাগালি দেবে ! এত বড় নািচ্ছার হারামজাদ ছেলে দিয়ে আমার দরকার নেই ! কী বলছেন। আপনি ? কাল সকালে বরং এ বিষয়েএক ঘণ্টার মধ্যে যদি বেরিয়ে না যাও এ বাড়ি থেকে, চাকর-দরোয়ান দিয়ে জুতো মেরে তোমায় আমি খেদিয়ে দেব। SNSD কলকাতায় হোটেলে নিজের ঘরখানায় বসে শুভ ভাবে, দু-তিন দিন পরেই হোটেলের পাওনা দিতে হবে। জগদীশ তাড়িয়ে দেওয়ায় এগার হাজার টাকা দামের গাড়ি চেপে সে হোটেলের ঘরে এসে উঠেছে বটে। কিন্তু তার পকেটে নগদ আছে মোট সাত টাকা ছ-আনা পয়সা । তাই বটে। এত পয়সা খরচ করে এত শিক্ষা পেয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত সে একটা পয়সা রোজগার করেনি। এইবার সত্যি সত্যি যাচাই হবে তার শিক্ষার মূল্য। $x© ዓ