পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব বলে, বঁাচা গেল, তোমাকে এখানেই পেলাম। মায়াও তাই বলছিল, তুমি তো আর ছেলেমানুষ নাও যে অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে। অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ? ভূদেব তবে ব্যাপার জেনেই এসেছে! সুতরাং, শুভ চুপ করে। "ভূদেব বলে, জগদীশের সঙ্গে কি একটা গোলমাল হয়েছে শুনলাম ? কি যে বললে জগদীশ ভালো করে বুঝতেই পারলাম না ব্যাপারটা। নেশার ঝোকে একটা কাণ্ড করে বসে এখন ভয়ে ভাবনায় এমন নার্ভাস হয়ে পড়েছে বেচারা । শুভ সিধে কথায় নেমে আসে। বলে, বাবার কথা বাদ দিন। ফাস্ট ইয়ারে পড়বার সময় ঠিক এমনিভাবে একবার আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আজ বুঝতে পারছি সেবার বাবাকে ক্ষমা করে কি বোকামি করেছিলাম। সেবার বাবা পিছন থেকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন মাকে। এবার আপনাকে পাঠিয়েছে। ভূদেব সঙ্গে সঙ্গে বলে, "শুভ, তোমাদের বিজ্ঞানের শিক্ষায় কি বাপ-মা বাতিল ? বাপ-মা ছাড়াই ছেলেমেয়ে গজায় ? সে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। তুমি জান না, তোমায় কোনদিন বলিনি, বলা যেত ও না। মায়াকে লাথি মেবে তাড়াবার ইচ্ছা হয়নি কখনো, কিন্তু এই সেদিনও তার গালে একটা থাপ্পড় কষিয়ে দেবার সাধ হয়েছিল। মনে করে আতি চালাক আমিআসলে ন্যাক হঁাদা মেয়ে । খালি সমস্যা জানে কি জানে আর অঙ্ক কষে কি করে সেটা সমাধান করা যায়। তার থিয়োরি জানে। অথচ পাঁচ-সাত বছর। ধরে ভূমিকা কেঁদেও জীবনটা শুরু করে দিতে পারে না। ভাবটা কি জান, জগৎসংসার যেন ওরই মুখ চেয়ে আছে, ওর হিসাবে যদি ভুল হয়ে যায় যাক, জগৎসংসার উন্টে যাবে ! ভূদেব একটা সিগারেট ধরায় । কি জান, মেয়েটাকে বড় ভালবাসি। এ জগতে আর তো কেউ নেই আমার! সারা জীবন কষ্ট করে যা কিছু সঞ্চয় করেছি। সব মেয়েকেই দিয়ে RVos