পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভ ধীরে ধীরে বলে, জানি। ওটা আমার ট্র্যাজেডি। আহলাদী ছেলে হয়েছি-বৈজ্ঞানিক হয়েও জের কাটে না । সবটা নাই বা কাটল ? যতটা কেটেছে ভালো-আরও কাটবে। দু-দিনে কি সব কিছুর সব জের কাটে ? ওই তো শরীর জগদীশের, ও আর কদিন বাঁচবে বল ? তুমি আর এ ব্যাপারটার জের টেনে না। শুভ ! বেচারীকে vịifờ(\5 >[{{\5 WịNG | একটু হাসে ভূদেব, রামচন্দ্রের চেয়ে পিতৃভক্তির পরিচয় দেবার সুযোগ পেয়েছ, এ সুযোগ ছেড়ে না । পিতার চেয়ে পিতৃসত্য বড় হয়, শোকে বাপ মরবো জেনেও গোয়ারের মত বনে যায় শুভ মাথা নাড়ে, দশরথ বারণ করেনি। দশরথ নিজেই সত্য চেয়েছিল, নইলে স্বৰ্গ ফসকে যাবে। যাই হোক, ব্যাপারটা মিটিয়ে দাও । হঠাৎ মদের ঝোকেমদের ঝোকে নয়। আমি কি ছেলেমানুষ যে নেশা করে বেরিয়ে যাও বললেই বেরিয়ে আসব ? ভূদেব আশ্চর্য হয়ে বলে, সে কি কথা শুভ ? শুধু জগদীশ নিজে নয়, অন্যের কাছেও শুনেছি ঝোকের মাথায় বেশী গিলে ফেলেছিল। জীবন টাকা চাইতে গিয়েছিল, তার সামনে খেয়েছে- জীবন নাকি বারণও করেছিল। মাতাল হয়ে কাণ্ডজ্ঞান না হারালে তোমায় কখনো ওভাবে তাড়াতে পারে জগদীশ ? শুভ জোর দিয়ে বলে, না, মাতাল হননি। বেশী নেশা টের পাওয়া যায় না ? তার লক্ষণ আলাদা। নেশা বরং একটুও ছিল না। একেবারে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ, পরিষ্কার স্পষ্ট কথা । রাগটা মাথায় চড়েছিল, স্রেফ রাগ । নেশার জন্য এরকম রাগ হওয়াই অসম্ভব। নেশা মাথায় চড়লেই বরং রাগটা এলোমেলে উণ্টোপাল্টা হয়ে যেত-অন্যভাবে চোঁচামেচি হৈ চৈ করতেন । নিজেই সেদিন নেশা চড়িয়ে শুভকে ঝিমিয়ে দিয়েছিল। সে কথা বোধ হয় মনে পড়ে যায় ভূদেবের। বেশী দিনের কথা নয়। একটা আপসোসের আওয়াজ করে বলে, তাহলে জগদীশ পাগল হয়েই গেছে। যাকগে, একটা মীমাংসা তো R8 R