পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমবেতভাবে ওদেরই অনুচ্চারিত আশ্বাসে শুভর। যেটুকু দ্বিধা ছিল তাও কেটে যায়। সকালে সে দেখা করতে ষায় জগদীশের সঙ্গে । শুভ এসেছে শুনে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে যায় জগদীশের, মুখে প্রশান্ত হাসি ফোটে। কত যুগের কত রাজা-বাদশার দম্ভ যে লুকানো থাকে। সেই হাসির আড়ালে । সেদিন রাত্রে বাড়াবাড়ি করে ফেলার জন্য অনুশোচনার অন্ত ছিল না, এখন মনে হয়, হয়তো বাড়াবাড়ি হয়নি মোটেই ! বড় বেড়ে যাচ্ছিল শুভ, ওরকম একটু কড়া তাগড়ানিই হয়তো তার দরকার ছিল। এবার থেকে শুভ একটু সামলো-সুমলে চলবে। ছেলের সামনে মুখোমুখি বসে। কিন্তু জগদীশের উল্লাস ঝিমিয়ে আসে। শুভর শান্ত মুখে দৃঢ় সংকল্পের ছাপ। জগদীশ টের পায় সেদিনের ব্যাপারটা মিটিয়ে দিতেই শুভ এসেছে কিন্তু তার সঙ্গে মিটমাট করতে আসেনি। তাই বটে, অতি সহজে নত হবার ছেলে তো তার নয় । জগদীশ নিজেই কথা শুরু করে। বলে, তুমি এসে ভালো করেছ, তোমার আমার দুজনেরই মান রেখেছে। এটুকু আশা করছিলাম তোমার কাছে। বুড়ো ব্যাপকে দিয়ে মাপ চাওয়ালে ছেলের মান বাড়ে না। শুভ বলে, আমার রাগ বা অভিমান নেই, সেদিনের ক্যাপার তুচ্ছ করে দিয়েছি । কিন্তু তার “কিন্তু’ শুনেই মনের আকাশ আঁধার হয়ে যায় জগদীশের । আমার কথাগুলি বুঝবার চেষ্টা করবেন, আমি যা ঠিক করেছি। তার সঙ্গে সেদিনের ব্যাপাবের কোন সম্পর্ক নেই । শুভ বলে, জগদীশ শোনে। কারো দোষে নয়, স্বাভাবিক নিয়মেই তারা দুজনে দু-জগতের মানুষ হয়ে গেছে।--ছেলের মুখে একথা শুনবার অনেক আগে থেকেই জগদীশ অনুভব করে তারা শুধু দু-জগতের মানুষ নয়, দুটি অনেক দূরের জগতের মানুষ । R 6t R