পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বসিক বাধা দিয়ে বলে, ই স্থা, তার মানেই হল তাই। জীবনবাবুকে তোমার আর ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে না। উটও মিটিং হয়েছিল-মিটিং আর কাকে বলে ? শরীর ভাল নয়, উনি আজ কিছু বলবেন না, বাস ফুরিয়ে Ččiში 1 আধা ঘণ্টার মধ্যে জীবন মোটা চালের গরম তাত পেট ভরে খায়। পরিবেশন করে লোচনের বড় ছেলে ঘনরামের বৌ! দয়া । গাদার সাধ ছিল বুড়োকে সে নিজে হাতে খাওয়াবে কিন্তু যতই ধীর স্থির ও ভারিাক্কী হোক তার চালচলন, নিতান্ত ছেলেমানুষ, তাকে এ কাজের ভার দেবার সাহস তার জা-শাশুড়ীর হয় না, লক্ষ্মীও নিষেধ করে । সে টের পেয়েছে, তাকে আর গাদাকে জীবনের মোটেই পছন্দ হয় নি। দয়া আর তারা অবশ্য একই গোয়ালের জীব। তবে দয়া বেশীর ভাগ রসুই ঘরেই ছিল এতক্ষণ, একটা বড় রকম ঘোমটা টেনে সেই ভাত দিল মানুষটাকে । খিদে পেয়েছিল, কিন্তু বেশী খেতে পারে না জীবন । খিদে পায়, খাওয়ার শক্তি নেই। শরীর পুষ্টি চায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় খাদ্য হয়ে দাড়াবে পেটের পক্ষে অসহ বোঝা । দুধ টুকু সবটা চুমুক দিতে সে কতবার যে ইতস্তত করে! খেয়ে উঠেই ঘুমে আর শ্রান্তিতে অবসন্ন হয়ে আসে দেহ, পায়ের যন্ত্রণা ঘা মেরে তাকে সচেতন করে রাখে। খানিক পরেই সে নন্দ ডাক্তারের যন্ত্রণানাশক ঘুমের ওষুধটা খেয়ে শুতে যায়। এবং সত্যসত্যই ওষুধটা মিনিট দিশেকের মধ্যে তার বোধশক্তিকে ভেঁাতা করে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। লক্ষ্মী অন্য কথা তোলে। তার মুখে শহরের গল্প শুনতে মেয়েরা বড় ভালবাসে। মেয়েরা সাগ্রহে শোনে, নানা প্রশ্ন করে-আবার তার মুখের শোনা কথা নিয়ে আড়ালে তার নিন্দাও করে, বলে, সোয়ামী নেয় না, এসব ধিঙ্গিপনাতেই তো তোর মজা ! Ji তবে দেশের জন্যে তাদের দশজনের জন্যে গজেনের ঠ্যাং খোড়া হওয়া R 0