পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি শিল্পোন্নতির নামে টাকাগুলি উড়িয়ে দেবে। এই কি তোমার শেষ কথা ? শুভ চুপ করে থাকে। জগদীশ নীরবে উঠে যায়। শুভ ভাবে, এখন অন্য কারে সঙ্গে দেখা করে বিদায় নিতে গেলে হয়তো - সেটা চিরবিদায় নেওয়ার অভিনয়ে দাড়িয়ে যাবে ! তার চেয়ে নিঃশব্দে সরে পড়াই ভালে । দেখা সকলের সঙ্গে হবে বৈকি । জগদীশ দাড়িয়ে ছিল গাড়িবারান্দার নীচে । শুভ গাড়িতে উঠতে যাবে, সে বলে, এ গাড়িটা আমার টাকায় কেনা শুভ । গাড়ির দরজাটা কেবল খুলেছিল, সেটা আবার বন্ধ করে দিয়ে শুভ নীরবে: গেটের দিকে হঁটিতে থাকে । একবার সাধ হয় যে বলে তার হাতের ঘড়ি থেকে পরনের জুতো, পোশাক - সবই জগদীশের পয়সায় কেনা, এসবও কি খুলে রেখে যাবে ? হীন হবার লোভটা শুভ প্রাণপণে জয় করে। জগদীশ সেই দিনই সপরিবারে বারতলায় ফিরে যায়। কয়েক দিন পরে শুভ খবর পায়, জগদীশ নবশিল্পমন্দির বন্ধ করে তালা এটে দিয়েছে। আরও খবর পায়, হঠাৎ যেন পাগলের মত শুরু করে দিয়েছে অত্যাচার । - কারণে অকারণে যাকে তাকে ধরে মারছে, ঘরের চালায় আগুন লাগাচ্ছে, হাঙ্গামা বাধিয়ে ডেকে আনছে পুলিস। নন্দ এসেছিল। সে বলে, সামলাবার চেষ্টা করবি না ? নিজেই তো মারা ‘পড়বেন ? শুভ মানমুখে বলে, উপায় কি ! বারতলার গেয়ে মানুষগুলির জন্য শুভার মন কেমন করে। বিশেষভাবে व्लन्ौद्ध ख] । ছেলেবেলা থেকে তার জীবন কেটেছে শহর আর ওই গ্রামে। কিন্তু গোঁয়ে মানুষগুলির কাছাকাছি থেকেও সে তো কোনদিন এক হয়ে যেতে পারেনি ওদের সঙ্গে, কোনদিনও তলিয়ে জানতে পারেনি। ওদের জীবন। আধখানা R ( 8