পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৌতুহলী চোখ তার দিকে পড়ে না, দু-একজন চেনা মানুষ ছাড়া বেশী লোকের সঙ্গে হাসিমুখে সহজভাবে কথা বলার সুযৌগ জোটে না । * * জগদীশের সঙ্গে তার যে এত কাণ্ড হয়ে গেল। সেজন্য উত্তেজিত হয়ে মাথা ঘামাবার সময় যেন গায়ের বেশীয় ভাগ লোকের নেই। কেবল তার নিজের প্রয়োজনে কেবল তার নিজের জীবনে সে যেন ওই নাটকটা ঘটিয়েছে।--তারা’ সঙ্গে গায়ের লোকের সম্পর্ক নেই। দোকানের সামনে দাড়িয়ে সনাতন আর গজেন কথা বলছিল । তাকে দেখেই ওরা সা গ্রহে এগিয়ে আসে । শুভ খুশি হয়ে হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করে, কেমন আছ তোমরা ? গজেন গোমড়া মুখে বলে, রাখছেন। কই যে থাকিব ? আপনি কারখানাটা - সায়েব আর মাড়োয়ারীকে বেচে দেবেন, মোদের উচ্ছেদ করবেন, এ তো ভাবতে পারিনি ছোটবাবু! সনাতন বলে, আপনে না মোদের ভাল চাইছিলেন ? মাগীটার আঁতুড় যেতে লাগবে আরও কটা দিন, বলছেন। কিনা তিন দিনের মধ্যে উঠে না গেলে ঘরটা ভেঙে দেবেন, মেরে খেদিয়ে দেবেন ! এ কেমন কথা ছোটবাবু? দেশে ফিরে বিমানঘাটি থেকে জগদীশের সঙ্গে গায়ে ফেরার দিনটির কথা শুভরা মনে পড়ে । ছেলের জন্য অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা আশা করে হতাশ হয়েছিল। জগদীশ । জনা লেভেল-ক্রসিং-এ ভিড় দেখে উৎফুল্ল হয়েছিল। কিন্তু ভিড়টা জন্মেছিল ভুল বাগদীর ছেলে বলাই ট্রেনে কাটা পড়েছিল বলে ! মনটা বিগড়ে যায়। কিন্তু হাসিও পায় শুভর। আমায় দোষী করছ ? তোমরা জান না বাবা আমায় ত্যাগ করেছেন, খেদিয়ে দিয়েছেন ? কথাটা বলেই শুভরা খেয়াল হয়। ইচ্ছে করে না হলেও সে মিথ্যা কথা বলেছে । জগদীশ তো তাকে ত্যাগ করেনি, তাডিয়ে দেয়নি। সে-ই ত্যাগ করেছে জগদীশকে, সেই তাড়িয়ে দিয়েছে জগদীশকে তার স্বাধীন স্বতন্ত্র আগামী জীবনের বর্তমান সীমানারও বাইরে । RG ইতিকথা-১৭