পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - “শুভ নিশ্বাস ফেলে বলে, না, তুমি প্রাণভরে গাল দাও, আমি রাগ করব না। সাবধান হয়েছে তো ? হয়েছি বৈকি। ঘণ্টাখানেক বসে শুভ। লক্ষ্মী আর কি দিয়ে আতিথ্য করবে, শুভকে সে একগ্লাস ডাবের জল খাওয়ায় । গাদা ডাবের জলটা এনে দিয়ে আবার তফাতে সরে যায়। লক্ষ্মী ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি কেউ যে তার সঙ্গে কথা কইতে আসে না সেটা মোটেই খাপছাড়া মনে হয় না। শুভর। লক্ষ্মীর কাছে সে খবরাখবর জানছে, লক্ষ্মীর সঙ্গে পরামর্শ করছে, না ডাকলে যেচে এসে কেউ তাদের ७ब्जभ्र ऊ) कद्र् ब ।। আজ শুধু লক্ষ্মীর সঙ্গেই আলাপ করে উঠবে অথবা পাড়ার লোকজনকে ডেকে কিছুক্ষণ কথা বলবে ভাবছে, স্বয়ং মায়াকে এগিয়ে আসতে দেখে শুভর। বিস্ময়ের সীমা থাকে না । কাছে এসে লক্ষ্মীকে চিনতে পেরে মায়াও যেন অবাক হয়েই চেয়ে থাকে। কি ব্যাপার মায়া ? ? ব্যাপার ? ব্যাপার আবার কি, আমারও মন কেমন করতে লাগল, তাই দেখতে এলাম তুমি কি কাণ্ড করছা! গাড়ি নিয়ে এসেছ ? একটা গাড়ি থামার আওয়াজ যেন পেয়েছিলাম । পেয়েছিলে ? আশ্চর্য তো । গল্প করতে করতে গাড়ি থামার আওয়াজ পর্যন্ত কানো গেছে । মায়া একটু বাকা হাসি হাসে। শুভর মুখে বিরক্তি ফোটে। লক্ষ্মী হাসিমুখে সরলভাবেই বলে, এত কাণ্ডের পর উনি হঠাৎ গায়ে এলেন। আপনার ভাবনা হবে বৈকি ! আমুন, বসুন। মনে হয় দুজনেই যেন অপমান করছে মায়াকে-শুভ তার বিরক্তির ভাব দিয়ে আর লক্ষ্মী কিছু গ্রাহ না করে। কী কঠিন যে দেখায় মায়ার মুখ । বরফজমানো সুরে বলে, না, বসব না । সেবারও হঠাৎ কারখানায় ঢুকে তোমাদের আলাপে ব্যাঘাত করেছিলাম। তোমরা কথা কও, আমি বিদায় হচ্ছি। RNVed