পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোক আর সাহস হোক চেতনার অনুপাতে ছাড়া তো হতে পারে না। যুদ্ধ দুর্ভিক্ষ সৈন্য পুলিস দাঙ্গা-হাঙ্গামা ধানের লড়াই একেবারে ওলট-পালট করে দিয়ে গেছে চেতনা । আঁতে ঘা খেয়ে খেয়ে সাফ আর শক্ত হয়েছে মাথাগুলি। প্রচণ্ড ঘটনার আধুনিক ট্র্যাকটর চষে দিয়ে গেছে। অনুভূতির ক্ষেত, এখনো দিয়ে চলেছে। নিজের সঙ্গে নিজের তুলনা করা যায়, আশ্চর্য হওয়া যায়। মনে হয় না। আমি একজন তুচ্ছ চাষীর মেয়ে, কুটার মত শুধু ভেসেছি ঘটনার বন্যায়, কোথায় ছিলাম কি ছিলাম একটা নিরিখ পেয়েছি, নিজেকে খানিক ‘ যাচাই করতে পারি । লক্ষ্মীর গা ছমছম করে, গাঢ় কুয়াশার আবরণে ছোট বড় কোন কোন গাছটাকে সেই চিরকেলে ভয়াবহ মূৰ্তি মনে হয়ে, বুকটা ধড়াস করে ওঠে, মন তার আপন মনে রামনাম জপ করে । কিন্তু তাতে কি আসে যায়, ভয় তো সে পায়নি। অশরীরী জীবের ভয় তাকে আটকে রাখতে পারেনি লোচনের দাওয়ায়, সখী ছাড়া এইটুকু পথ পার হওয়া তার পক্ষে অসাধ্য করেনি। লক্ষ্মী জানে, ভূত-প্রেত যদি থাকেও মানুষের তারা ক্ষতি করে না। ওটা শরীরী মানুষেরই একচেটিয়া কারবার। কুয়াশা ভেদ করে একটা ভূত বা প্রেত বা পেত্নী যদি নেহাত এখন তার সামনে এসে দাড়ায়, অভ্যাসবশে হয়তো সে মূছ৷৷ যাবে,-ভয় পেয়ে নয়। আজও ভয় করে, অনেক রকম ভয়, কিন্তু কোন ভয় আর তাকে কাবু করতে পারে না। একেবারে। ভূত নয়, তার সামনে দাড়ায় কৈলাস। তার জন্যই কৈলাস অপেক্ষা করছিল। পাছে সে ভয় পায় এজন্য স্পষ্ট গলায় বলতে বলতে সে সামনে আসে ; আমি কৈলাস গো, কৈলাস । ডরিও না, আমি কৈলাস ! মাদুলি দেখাব, সেই কুন্দু ঠাকুরের মাদুলি, ডরিও না ! মন্ত্রপূত মাদুলি দেখিয়ে কৈলাস প্রেমাণ করবে। সে রক্তমাংসেরই কৈলাস। মহাশূন্যের অধিবাসীরা মানুষের সামনে আসতে হলে অনেক সময় চেনা লোকের রূপ ধরে আসে। আর সবই তারা নকল করতে পারে, শুধু মাদুলি-কবচ RV9