পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মী চোখ বুজে ছিল, সে টের পায় না। কৈলাস হঠাৎ বলে, চট করে। ঘরে যাও । পুলিস গা ঘেরাও করছে। লক্ষ্মী সঙ্গে সঙ্গে নিঃশব্দে ঘরের দিকে জোরে জোরে পা চালায়। কৈলাসও আর এক মুহুর্ত দাড়ায় না। চোখের পলকেই সে যেন গাছপালার সঙ্গে মিশে যায়। . ষষ্ঠীতলার বটগাছটার ডালে একটা রাত্রিচর পাখি কর্কশ আওয়াজ তোলে। দূর থেকে শোনা যায় কুকুরের ডাক । ভোর ভোর বনমালীর গোরুর গাড়িতে জীবনের বারতলা রওনা দেওয়ার কথা; সে কিন্তু রওনা হল মাঝরাত্রেই, মোটরগাড়ি চেপে ! জীবনকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সমস্ত পাড়াগাটা নিজেও ঘুমিয়ে পড়ে। এত বেশী খাটে সকলে আর এত কম খায় যে ঘুমের টনিক ছাড়া বঁাচাই অসম্ভব তাদের । ঘুমের জন্য তপস্যা করতে হয় না, চাটাই-মাটাই যাতে হোক গা এলিয়ে ছেড়া বালিশ বা ন্যাকড়-জড়ানাে খড়ের পুটুলিতে মাথা' রাখলেই ঘুম যেন মশার ঝাকের আগেই এসে যায়। কিন্তু নিশ্চিন্ত মনে ঘুমোবার কি যে আছে গায়ের লোকের, পা মচকে স্বদেশী-সাধনায় কোন সাধক গায়ে আশ্রয় নিলে ! আধা ঘণ্টা বাদে বারতলা থেকে গাড়ি-বোঝাই পুলিস এলে, পনের মিনিট বাদে তাদের সঙ্গে জগদীশের গাড়িতে জীবন বারতলায় রওনা BB BBBBDB BB BDB D DDDD D DB BB DDDD DD DL BBD DBD হবে না নিশ্চয় । জীবনের পা মচকে এ গায়ে আশ্রয় নেওয়ারই সেটা জের, নইলে গাড়ি-বোঝাই পুলিস নিয়ে জগদীশের ছুটে আসা প্রয়োজন হত না । দাওয়ায় মাথা থেকে পা ঢাকা মশারি শীতের আবরণ চাদর খুলে উঠে বসে। একেবারে টর্চের আলোর মুখোমুখি লোচন ও ঘনরামের ঘুম ভাঙে। ভালোঃ করে চোখ রগড়ে ঘুম তাড়াবার সুযোগও পায় না। কে এসেছিলেন। এদিকে ? কাকে তোমরা গুম করেছ ? কোথায় তিনি ? আজ্ঞে এ বাড়িতেই আছেন। কোথায় ? Sዓ