পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ং নিজেদের লোক আর অনুগতেরা হৈ চৈ করে আগে জমা মা হলে এরা হয়। cड नक श्निावs qन नैद्धांड न। “ ঐ ব্যাপার শুভ জানে। স্বাধীনতার জন্য যখন প্রচণ্ড সংগ্রাম চলেছে, দেশের প্রাণের মানুষের হাজারে হাজারে জেলে গিয়েছে, কলকাতার রাজপথে লাটবেলাটিকে গাড়ি চেপে যেতে দেখতে তখনও পথের দুদিকে মানুষ ভিড় করেছে। সম্মান জানাতে নয়, শুধু দেখতে। লাটবেলাট এসে পড়বার অনেক আগে থেকে সে পথে আরম্ভ হয় নানারকম পুলিসের গাড়ির ছুটোছুটি ব্যস্ততা-লোকে ভাবে, কে আসছে, ব্যাপার কি একটু দেখাই যাক দাড়িয়ে! দিন কয়েক শুভ যেন নন্দকে আঁকড়ে থাকে। সকাল বেলাই মাঝের গায়ে হাজির হয়। নন্দকে বলে, চা খাবার সব খেয়ে এসেছি, আমার জন্য ব্যস্ত হয়ে না। নিজের কাজ ঠিকমত করে যাও । আমার দিনরাত ছুটি, তোমার বাড়তি টাইমে আমার সঙ্গে কথা বললেই ঢের হবে। নারান কর্মকারের পৈতৃক ভিটা জীর্ণ কুঁড়ে ক-খানার গা ঘেষে বারান্দাওলা নতুন একখানা কঁাচ ঘর তুলে নন্দ ডিসপেন্সারি দিয়েছে। ওষুধের আলমারিটার মাথায় একটি গণেশের মূর্তি, পিছনের দেয়ালে কালীর পট। একটি লোহারু চেয়ার এবং বাড়িতে মিস্ত্রী এনে তৈরী করা দুখান কঁঠাল কাঠের টেবিল,- একটি টেবিলে সে প্রেসক্রিপশন লেখে এবং অন্য টেবিলটিতে নিজেই সেই প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ বানায়। এ ছাড়া ঘরে আসবাব আছে পাটি-বিছানো একটি তক্তাপোষ ও একখানা বেঞ্চি । চাষাভূষা রোগী এবং ওষুধ ও পরামর্শপ্রার্থী মেঝেতে উবু হয়ে বসে। একটু যারা ভদ্র, অন্তত একটা ফতুয়া গায়ে দিয়ে কিম্বা কঁধে বিশ বছরের প্রাচীন ও পোকায় কাটা হলেও কোনরকম একটা চাদর ফেলে আসে, তারা বসে তক্তা পােষুে কিম্বা বেঞ্চিটাতে । শুভ এসে সকাল থেকে বেঞ্চি বা তক্তাপোষে জাকিয়ে বসে থাকা আরম্ভ, 8 R