পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কতটুকু কাজে লাগছে। এদেশে ? রিসার্চ করে আমি সায়ান্সকে এগিয়ে নিতে পারি, কিন্তু আমার দেশ কি তাতে এগোবে ? সায়ান্তু যেখানে এগিয়েছে, দেশটা অন্তত তার খানিকটা নাগাল ধরুক। এলোমেলোভাবে রোগী ও রোগিনীরা আসে যায়, তাদের আত্মীয়বন্ধু আসে। যায়-অকারণে মানুষ। ডাক দিয়ে দু-দণ্ড আডো মেরে যায়। বেকার মানুষ । পেটের জন্যেও আয় করার উপায়হীন মানুষ। তা, ওরকম মানুষ অসংখ্য আছে। দেশে। অনেকের আছে। বছরে কিছু দিনের কাজ-বাকিটা কর্মহীন সময়ের বোঝা বয়ে বেড়ানো জীবন । নন্দ ভাবে, এটা না শোষিতের দেশ ? জীবিতের খাটুনি আর সময় রূপ জীবনটাই তো শোষণের আসল সামগ্রী ? এত মানুষ, প্রাণপাত করে খেটে শোষিত হবার জন্য • সারা দেশে চরে বেড়াচ্ছে অথচ, তাদের ভালো রকম শোষণ করার চেষ্টা নেই,-এ কি রকম শোষণ, ব্যবস্থা ? কিন্তু শুভময়ের মনের কথাটা সে ধরতে পারে না । সে রোগী দেখতে যায়। ফিরতে মোটামুটি কতক্ষণ লাগবে জেনে নিয়ে শুভ চারিদিকে ঘুরে বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে একখণ্ড ফাক পরিষ্কার জমিতে সে গাড়ি রেখেছিল । নন্দর বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। মাঝের গায়ের দিকে ঢুকে এসেছে কঁচা।” শাখা রাস্তাটি-এখানে বেশ নির্জন। তার ওপর ফাক জায়গাটুকুর তিন দিক গাছপালায় ঢাকা । ইতিমধ্যে গাড়ির দুটি টায়ার ও কিছু আলগা পার্টস চুরি হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মী এগিয়ে এসে বলে, দুজন কি ঠিকঠাক করছিল, আমায় দেখে ছুটে পালিয়ে গেল । চেনে ? না, কি করে চিনিব ? গায়ের লোককে চেনে না ? 8ኳ”