পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থায়ী হবে তাদের দুর্গান্ত উন্মাদনা ? কদিন টিকবে তাদের শুধু পরষ্পরকে নিয়ে মেতে থাকার সুখ ? স্বরের কোণের লাজুক মেয়ে বেী সরল পাগল প্রেমিকের সঙ্গে সব তুচ্ছ করে বেরিয়ে গিয়ে ঘরই তো বাধতে চায় এই বিরাট সংসারের অন্য আরেকটা কোণ খুজে নিয়ে। সংসারের বাস্তবতা দুদিনে শুকিয়ে দেয় তাদের ভালবাসা, চুরমার করে ভেঙে দেয় তাদের স্বপ্নের মত ক্ষণস্থায়ী সুখের জীবন। তারা তো দুজনেই ঘা-খাওয়া পোড়-খাওয়া ঘাগী মানুষ সংসারের। কদিন টিকবে তাদের বেহিসেবী প্রেম ? কল্পনা করেও লক্ষ্মী শিউরে ওঠে ! সে জানত। কৈলাস এটা জানে, কৈলাস বোঝে যে বঁাচতে হবে অনেকদিন, দুদিনের জন্য পাগল হবার উগ্র আনন্দের জন্য সমস্ত জীবনটা নষ্ট করা বিষাক্ত করা শুধু ছেলেমানুষি নয়, বোকামিও বটে। তাই সেদিন রাত্রে কৈলাসের অধীরতার মানেই বুঝতে পারে না লক্ষ্মী। এক সে লোচনের বাড়িতে রয়ে গেছে শুধু এইটুকু জেনে যদি সে একাই ঘরে ফেরে এই আশায় তার জন্যে অপেক্ষা করা ! এত অন্যায় জগতে, তার মধ্যে কেবল তারা কেন মিলতে পারবে না। এই অন্যায়াটুকুকে সবচেয়ে বড় করে তুলে জগৎসংসার তুচ্ছ করে তার হাত চেপে ধরা ! মানুষটা নিজেকে সামলে নিয়েছিল অনায়াসেই। সেটা অদ্ভুত ব্যাপার কিছু নয়। গভীর রাত্রে নির্জনে তাকে এক পাকড়াও করতে পেরেছে বলেই তার বিনা অনুমতিতে হাত ধরার বেশী কি এগোতে পারে কৈলাস ! কিন্তু মনটা খুশী নয় লক্ষ্মীর । কে জানে কি নিয়ম জীবন আর জগতের। কুয়াশা কেটে চাদ উঠেছিল । অনেক কথা বলার পর সে গলা জড়িয়ে বুকে মাথা রেখেছিল কৈলাসের । Vs ইতিকথা-৫