পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোমান্না ভাবটা নাকি তার ঘোচে না। সে বুঝে উঠতে পারে না কিসে আর কিভাবে কি হবে। উৎসাহ তার ঝিমিয়ে আসে—মনটা বড়ই ব্যাকুল হয়ে পড়ে। নানা কথা নানা মত শুনতে শুনতে বিহ্বল হয়ে যায়। না জেনে না। বুঝে অন্ধের মতো কাজ করতে পারে কেউ ? শুধু বুকের জ্বালা সম্বল করে? আর পাঁচজন লড়ছে,-শুধু এই উৎসাহ নিয়ে ? কেউ যদি সহজ সরল ভাবে তার বোধগম্য করে দিত ঠিক কিভাবে শতরকমের দুর্দশা ঘুচাবে মানুষের ? কিন্তু কে কার কৈফিয়ত চায়, কে বুঝতে চায় কার মন । ওজনওয়ালা । মানুষ, দশজনের বিশ্বাসওল প্রভাবশালী কত মানুষ প্রাণটা আকুল করে শত প্রশ্ন আর খটকা তুলে সরে গেল, ফিরে চাওয়াও দরকার মনে করে না। কেউ-তুচ্ছ সাধারণ কৈলাসের জন্য কে মাথা ঘামায়। লক্ষ্মী ছাড়া চেনা জানা কেউ একজন একদিন একটু কৌতুহলের বশে শেষ পর্যন্ত জানতে চায়নি, কি ভাবছে কৈলাস, প্রাণটা তার কেন আর কিসে টনটন করছে ! নন্দ পর্যন্ত নয় ! লক্ষ্মী বলে কি ভাবিছ ? নতুন কথা কিছু ভাবিছ না কি ? কৈলাস বলে, হাঃ, নতুন কথা ভাবতে পারলে আর ভাবনা ছিল ? ওই তো মন্দ কপাল। মরে আছি তো ওই জন্যে । আমি শালার সাধ্য আছে ভেবে ভেবে ভাবনার কুলকিনারা পাই ? কুল মেলাবার মানুষ মিলল না। একজন ! লক্ষ্মীও নিশ্বাস ফেলে। কিন্তু আশ্বাস দিয়ে বলে, মিলবে । না মিলে কি যায় ? একলাটি তোমার তো নয়, এত মনিয্যির প্রাণ চাইছে সে কি আর মিছে হবে ? দশজনার প্রাণের টানে ভগবানকে পর্যন্ত নামতে হয় না। পৃথিবীতে ? একটু থেমেই বলে, কাজ কর না একটা ? জীবনবাবু মিটিং করতে চাইছে সেই থেকে, মোদের ডাক্তারকে ধরেছে চেপে।। ডাক্তারের বুঝি মন নেই, سN