পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে, আগে গিয়ে মারামারি কামড়াকামড়ি না করলে ফুরিয়ে যাবার ভয়। তৰে কি না বুঝেও মনটা যেন বুঝতে চায় না, আজও না খেয়ে থাকতে হলে মুশকিল, বৌটা তোরাবের আসন্ন-প্রসবা, বড় কমজোরী হয়ে পড়ছে শরীরটা তার এমনিতেই । এয়া আজ এবেলাই ধরণীর কাছে কর্জের জন্য যাবে । নন্দর বাড়ির দিকে চলতে চলতে কৈলাস আরও কয়েকজনকে ডেকে সঙ্গে নেয়। শুভর। সাধ “মেটানোটাই তার উদ্দেশ্য নয়। এদের কথাবার্তা শুনে শুভ যদি বুঝতে পারে । কিভাবে ধারণী শোষণ চালাচ্ছে ফসল তোলার আগে, এদের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে চাপ দিয়ে ধরণীর বাড়াবাড়িটা ঠেকাবার চেষ্টা একটু হয়তো সে করতেও ‘পারে-এটুকু আশা করতে দোষটা কি ? নন্দর ডিসপেনসারির দাওয়ায় তারা বসে। যারা কর্জের আশায় যাবে তাদের মনে ওই এক চিন্তা-আজও যদি ধরণী, ফিরিয়ে দেয় । তিন-চার দিন নানা ছুতায় সে কার্জ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। গদিতেই আসে দুতিন ঘণ্টা দেরি করে। নারান বলে, দেড়ভাগি চাপাবে ঠিক । না তো দেবে না মন করে। তা মানবে না মোরা । बा, ङा भन्मgा काl, आiहान्न किgद्र । এক মুহুর্তে তোরাব যেন ভয়-ভাবনা-উদ্বেগ ভুলে যায়, হাটুতে জোরে চাপড় মেরে বলে, পোয়া সুদের এক কুণো বাড়তি মানব না, না দেয় কর্জ না দেবে। গত বছর ফসল কাটার দশ-বার দিন আগে বিপদে পড়ে দেড় ভাগি শর্তে ধান নিতে হয়েছিল তোরাবকে ফজলু মিঞার কাছে, সে জ্বালা আজও সে ভোলেনি। মাঠে যখন লাঙলও পড়েনি, বীজধান কার কী আছে কেউ জানে না, বৃষ্টি হবে, না ধানের চারা মাঠে শুকিয়ে যাবে অথবা বন্যায় শেষ করে দিয়ে যাবে। কি যাবে না। অতি বৃষ্টিতে মাঠভরা তেজী ধানগাছগুলিকে তাও যখন কেউ বলতে পারে না-তখন মহাজন দুমণ ধান দিয়ে ফসল উঠলে তিন মণ আদায় করুক, বলার কিছু নেই। নাঃ, কিছুই বলার নেই। চাষীটাই টািকবে কিনা, AV