পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনা ধরণীর কাছে ঋণের ফ্রান্স গলায় পরতে যেতে এদের এত গরজ কেন, কিসের দায়। সে তাই থেকে থেকে একে ওকে ঘরের খবর জিজ্ঞাসা করে, ধান বা “টাকা কিলের কার্জ দরকায় জানতে চায় । কান পেতে নিজের কানে শুভ শুনুক এসব কাহিনী । কুকুৰক কি অবস্থায় “মানুষকে জবাই করে ধরণী । পিনাক সামন্তকে যেতে দেখে সে ডেকে আনে। শুধু জমিহীন গরীব, छावैौद्दे নয়, মধ্যবিত্ত চাষীকেও কেন ধরণীর কাছে হত্যা দিতে যেতে হয় "তাও সয় জেনেশুনেও পিনাককে জিজ্ঞাসা করে, কোথায় চলেছ সমস্ত খুড়ো ? আমার কোথা যাব বল ? চলেছি। ধারণী ব্যাটার কাছে। ব্যাটার ওলাউঠা হয় না, শকুনে ছিড়ে খায় না ব্যাটাকে । ভূষণ বলে, যা বলেছ দাদা। মানুষকে এমন ডাহা মিথ্যে মামলায় জড়াতে -ধারণী ছাড়া কেউ পারবে না । Yk. পারবে না ? খোদ বড় কত্তা নিজে গনশার চালায় আগুন দিয়ে রাজেন দাসদের জেল খাটালে না ? সব এক ঘাটের কুমীর । ধারণী বলে আমায় দ্ব্যাখ, জগদীশ বলে আমায় দ্ব্যাখ। কুণ্ঠও হয় না ব্যাটাদের, আশ্চর্ষি। এই গায়েরই শেষপ্রান্তে পিনাক সামন্তের টিনের আর খড়ের কোঠায় মেশান বাড়ি, নন্দের বাড়ি থেকে পোয়াটেক মাইল দূর। মানুষটার বয়স খুব বেশী হয়নি, অকালে বুড়িয়ে জীর্ণ আর বঁাকা হয়ে গেছে সত্তর বছরের বুড়োর মতো। তরফদারের কাছে তার প্রয়োজন ধানের কার্জ নয়, বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতো এক চোরা গোপ্ত একতরফা মামলায় জমি নীলামের নোটিশের প্রতিবাদে কাকুতি-মিনতি করা। তার ছেলে গেছে বিদেশে খাটতে, ফসল কাটার সময় * আরও নিকট হলে ফিয়বে। কি করবে ভেবে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পিনাক । ημι বলে, মরণ হলে হাড় জুড়াত, আদেষ্টে মরণ নাই। সেই যে গোল -বাধালে ছেলেটা নাথুর হয়ে সাক্ষী দিলে ফৌজদারী মামলায়, ধরণীর জরি ግህም