পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরের মধ্যেই ভেতরের দরজার কাছে দাড়িয়ে কানাই কক্ষেতে ফু দিচ্ছিল, নজর পড়ায় ধারণী বলল, এই যে এনেছিল। . . . . একেবারে যে মোটা গোল-গাল তা নয়, নাদু-যুদুস চেহারা ধারণী তরফদারের, বেঁটে বলে বেশী মােটা দেখায়। টানা চােখ, মুখখানা থ্যাবড়া না হলে হয়তো কোনমতে মানাত, আর যদি ভুরু না হত দামাল মোচের মত ঘন। টানা চোখে একবার সে তাকিয়ে নেয় সবার দিকে, কে কে এসেছে, কেন এসেছে, মোটামুটি আন্দাজ করে নিতে। দিনকাল বড় খারাপ পড়েছে, একদিন সকালে বৈঠকখানায় নেমে যদি দ্যাখে যে একদল আধিয়ার হাতিয়ার নিয়ে অপেক্ষা করছে, মোটেই সে আশ্চর্য হবে না। ব্যবস্থা অবশ্য সে করে রেখেছে আত্মরক্ষার। দুনলা বন্দুকে ছররা টােটা ভরে ছেলে দাড়িয়ে আছে ভেতরের দরজার ওপাশে, রামদা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছে। রঘু আর বিষ্ণু। তাছাড়া, লোক-জন সকলকে বলাই আছে যে, বৈঠকখানায় একটু হট্টগোল শোনামাত্র যে যেখানে থাকে ছুটে আসবে দা’ লাঠি যা পায় হাতের কাছে তাই निcश । উপস্থিত। এদের মধ্যেও তার ভাড়া-করা লোক মিলে-মিশে আছে দুচার জন । ওরা তার চরের সামিল, চাষীরা কি ভাবছে কি পরামর্শ করছে। খবরাখবর পৌছে দেয়-হঠাৎ দরকার হলে ওরাও তাকে বাচাবে । তবু বলা তো যায় না। যা দিনকাল পড়েছে। রাজেন যে ? খবর কি ? রাজেনের দিকে তাকিয়েই কিছুক্ষণ হুকো টেনে ধারণী জিজ্ঞাসা করে। একটু দরকার ছিল। বোসে । জয় দুৰ্গা শ্রীহরি। হাই তুলে তুড়ি দেয় ধরণী, বলে শরীরটা ভাল নেই! হুকো টেনে যায় ধরণী, খানিকটা চোখ বুজে, চুপচাপ। বিষয়াকর্মে তার যেন মন নেই, এতগুলি লোক কেন তার কাছে এসেছে সে যেন জানতেও চায় না, পরম গভীর কোন এক অপার্থিব চিন্তায় সে যেন ডুবে গেছে। নিজে থেকে tro