পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মীয় বন্ধু কেন, চারিদিকের জীবন ও পরিবেশও যেন তাকে একবাক্যে নিষেধ করেছে, এখানে নয়, এখানে কিছু হবে না। মনুষ্যত্ব ছাড়া কিছু নেই এখনকার মানুষের। মানুষ যে প্রকৃতিকে জয় করেছে, মানুষ যে পশু নেই, তার আদিম কিছু প্রমাণ শুধু মেলে। লাঙল দিয়ে জমি চাষায়, তাত বোনায়, মাটির হাড়িকলসী গড়ায়, কুঁড়ে ঘরে উনানের আঁচে লোহা ত্যাতিয়ে কামারের হাতুড়ি ঠোকায়। দুঃখ দৈন্য রোগ শোক ক্ষুধা আর উগ্র অসন্তোষ নিয়ে মানুষ বাস করে, মনের আদিম অন্ধকারে পথ হাতড়ায়। বর্ষায় ঘর ভাসে, খরায় মাঠের ফসল জলে যায়, ডোবা পচে, মশার ঝাক ওড়ে, প্রতিটি দিনের সঙ্গে শেষ হয়। পথের অভাবে মাঠ ভেঙে চলাফেরা আর স্কুল শিথিল কাজ কর্ম, তেলের অভাবে সন্ধ্যাবেলাতেই সন্ধ্যাদীপ নিভে গিয়ে শুরু হয় নিস্ক্রিয় বিম-ধারা দীর্ঘ রাত্রি । কী দিয়ে রচিত হবে নবশিল্প ? তবু শুভ থামেনি। কে জানে পল্লী মায়ের শান্ত মধুর স্নেহসিক্ত বিষাদের হতাশা থেকে জিদ এসেছিল কি না। শহর থেকে দূরেই নবশিল্প গড়া দরকার। দূরত্ব ? রেললাইনেব ধারে পঞ্চাশ ষাট মাইল কিসের দূরত্ব ! মজুরের অভাব কিসের ? ভূমিহীন কত চাষী উপোস দিচ্ছে, দলে ভিড়ে, আন্দোলন আর হাঙ্গামা করে ক্ষুধার্ত বাঘেব মতই মরিয়া নিষ্ঠুর থাবার ঘায়ে ভেঙে চুরমার করে দিতে চাইছে সমাজ সংসার। ওদের একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে মজুরের 'अङाद झरद •ा | মজুরি পেয়ে ওরাও বাঁচবে, শান্ত হবে। যুদ্ধের সময়টা বেশ চলেছিল। কারখানা। বারতলা আর আশে পাশের গ থেকে যারা প্রাণ বাচাতে শহরের শিল্পাঞ্চলে গিয়ে কারখানায় ঢুকেছিল, তাদের মধ্যে থেকে কিছু লোক ফিরিয়ে এনেছিল। জগদীশ। বিদেশে কেন, ঘরে বসে। স্বতায় ছেলের কারখানায় খেটে রোজগার করবে। তাছাড়া ঘষে মেজে তৈরি করেছিল স্থানীয় কিছু আনাড়ী ভূমিহীন চাষীকে । যুদ্ধ থামার পর ক্রমে ক্রমে কারখানাও থেমে এসেছে। প্রকট হয়েছে। একটা সত্য, শিল্পীরাণী অসতী নয়। কোটিপতি পতি ছাড়া কারো দাসীত্ব সে । V