পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনছে তাদের কথা । তেমনি নির্লিপ্ত ভাবেই: "চোখ ফিরিয়ে নেয় ধর্ম্মণী । , পিনাক সাহস করে সামনে এগিয়ে যায়, বলে, মোর একটা বিহিত করেন। কত্তা, তুমি ধম্মোৰাপ। মশাটারে মারাতি নীলামের দুটিশ কেনে, ডাকিয়ে এক থাপড় দিতেন। তোমার সাথে বিবাদ করে বুকের পাট কার? তুমি কে বটে ? তাকে চিনতে পারে না ধরণী । পিনাক সামন্ত, হুজুর। তাকে না চেনা হাস্যকর হত। অন্য অবস্থায়, এখানে বেশ মানিয়ে যায়, জোতদার রাজার অবজ্ঞা আর চাষী প্রজার হা-হুতাশ-ঠাসা এই কাছারি अॅस्ट् । দুখীয়ামের বাপ এনা-মহেন্দ্র আরও চিনিয়ে দেয়। মহেন্দ্র ধরণীর লোক, বিশেষ কোন দরকার বা দরবার তার নেই, এমনি এসে বসে আছে এক পাশে উবু হয়ে আনুগত্য জানাতে। সে. বলে, ওর ছেলের কত কাণ্ড । বিলের ধারের জমিট। ভাগে নিয়ে তেভাগা চাইছিল। তোমার মনে নেই ধারণী ? s ধরণী, একটু বিরক্ত হয়ে কড়া চোখে তাকায়। মহেন্দ্র তাড়াতাড়ি বলে, মনে তোমার অবিশ্যি আছে। তুমি কি ভুলবার না ভুল করবার মানুষ ! ক্ষমা-ঘেন্না করতে চেয়ে নিজের লোকসান কর । তোমার কাছে ধান-টাকা কার্জ না পেলে কেউ বাচিত ? মন্ত একটা ভুল চাল দিয়ে ফেলেও মহেন্দ্রকে বিশেষ দুঃখিত বা চিন্তিত মনে হয় না । ধারণী নিজেই তাকে বাহাল করেছে মোলায়েম বিরোধিতার ভূমিকায় । চাষীদের পক্ষ নিয়ে মহেন্দ্র মাঝে মাঝে ধারণীকে খোচা দেবে, সমালোচনা করবে। চাষীরা তাকে ভালবাসবে।--তার কথা শুনে চলবে । সে অনেক চাষীকে বলি কয়ে এনে দিয়েছে ধরণীর দরবারে। একটা ভুল করেছে বলেই চোখ রাঙালে চলবে কেন ! তাকে ছাড়া তো উপায় নেই ধরণীর । bra