পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল ঐ কয়েকজন ছাড়া। তাতে ক্ষতি বা আপত্তি ছিল মা মািম দাপেয়—নগৰ ধৰে বেশী পায়নি সেটা ভাল করেই পুষিয়ে নিচ্ছে। · · · · · · এদিকে জলের অভাবে ফসল বঁাচে না চারিদিকের শত শত বিঘা জমিতে। অয়গোয় বছর উর্বরা ক্ষেতকে বন্যা মেরেছে, পরের বছর মেরেছে অসময়ে অতিবৃষ্টি আর সময়ে অনাবৃষ্টির দাপটে এ বছরও মারতে চাইছে কৃপণ আকাশ, পক্ষপাতী ইন্দ্র। তা চাষীরা ভাবে কি, দেবতা এক হাতে বজের কায়বীয় করুক, আরেক হাতে করুক অন্সরাদের বস্ত্রহরণ, তাদের একটু জল পেলেই হয়! লাখো লাখো সবুজ চার শীষ বিয়োতে উদ্যোগী হয়েও রসের অভাবে বিবর্ণ হতে হতে বাতাসে দুলছে, শুকিয়ে মরবে, না মা হবে কতগুলি জীবন্ত দানার ? বিলের কিছু জল পেলে তারা বঁাচে-বাচাতে পারে কয়েকজন মানুষকে । r তাই, চাষীরা চাইল, প্রতাপ বিলের জল কিছু তাদের ক্ষেতে আসুক। মদন দাস বলল, বিল থেকে এক ফোটা জল অপচয় হলে হাজার হাজার টাকার মাছ । প্রাণত্যাগ করবে । জল দেওয়া চলতে পারে না । চাষীরা বলল, ধম্মোবাপ ! এক হাত দেড় হাত জল নামা হলে কি হবে মাছের ? জলের খাজনা নেন, জল দেন । কিন্তু বিলের মাছদের প্রতি বড়ই দরদ মদন দাসের, জল কমিয়ে তাদের অসুবিধা ঘটাতে সে রাজী নয় । তার খাস জমিতে আর তার বর্গাদের জমিতে বিল থেকে জল সেঁচে দেওয়া হচ্ছে, অন্যের জমির ফসল নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। সে বলল, জল কি আমার ? জেলেদের জমা দিয়েছি, ওরা জলের अलिक ! মরিয়া চাষীরা একদিন পাড় কেটে বায় করতে গেল জল । জেলেদের দিক থেকে বিশেষ বাধা এল না, মদনের আদায়ের বহরে মাছ ধরে তাদের বিশেষ জুবিধা হচ্ছিল না । মাছ ধরার শর্ত ব্যবস্থার অদল-বদল চেয়ে বার বার ধর্মী দিয়ে ফল পায়নি। মদনেয় ভাগ্নে বীরেন। আর চোপীন জেলের উস্কানিতেও R