পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভা নাটক । У о У মধু । আমি ঐ সরোবরের ধারে বসে ছিলেম । হায় ! প্রিয়সখি, আমাদের কি চিরকাল এই দুঃখ ভোগ কত্তে হবে ? এ বিপদ থেকে আমাদের কে রক্ষা করবে ? আমরা এখন কার শরণাপন্ন হব ? ( রেণদন । ) ইন্দু । ( দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া ) আর সখি ! এখন কাদ্বলেই বা কি হবে ? আমরা জন্ম জন্মান্তরে অনেক পাপ করেছিলেম, তারই ফল ভোগ কচি ৷ * * মধু । প্রিয়সখি, আমরা যদি বিধাতার নিকট এত অপরাধিনী না হব, তা হলে তিনি এরূপ বিপদসাগরে নিক্ষেপ করবেন কেন ? ইন্দু । হায় ! সখি, বিধাতার একি সামান্য বিড়ম্বন ! দেখ, আমি রাজকুলপতি সত্যবিক্রমের মেয়ে, বীরশ্রেষ্ঠ বিচিত্রবাহুর পত্নী হয়ে বন্দীভাবে রয়েছি । এর চেয়ে অণর অপমান কি অগছে ? তা ভাই, এর জন্যে ত আমি একবারও ভাবিনে । কিন্তু প্রাণেশ্বরের কথা মনে হলে আমার প্রাণ যেন কেদে ওঠে । আমি কি কর্যে আর র্তার বিরহযাতনা সহ করব ! ( রোদন । ) 疆 i. মধু । প্রিয়সখি, তোমার দুঃখ দেখলে আর এক দণ্ডও বাছতে ইচ্ছা করে না । হায় ! বিধাতা এমন কণকপদ্মকেও পঙ্কিল জলে নিক্ষেপ কল্পেন! এ দুষ্ট রাহুকে কি এই পূর্ণশশী গ্রাসের জন্যে সৃষ্টি করেছিলেন ! ( রোদন । ) ইন্দু । সখি, রাহুগ্রাস থেকে ত পূর্ণশশী মুক্ত হয়ে থাকে ; তা আমরা কি কখন এ দুষ্টর হাত থেকে পরিত্রাণ পাব ? যত দিন না আমাদের দেহে প্রাণে বিচ্ছেদ হয়, ততদিন এই যন্ত্রণাভোগ কত্তে হবে । ( রোদন । )