পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় খণ্ড – চতুর্থ সর্গ।
১২৯

ভাবিলেন মনে মনে, এ নূতন দিনে,
যদি কোন মতে হয় চাতুরী প্রকাশ,
যাহার কৌশলে আজ শ্রীধর ঠাকুর
হইয়াছে সর্ব্বস্বান্ত দেশত্যাগী এবে,
বিপদ ঘটিবে তাঁ’র নাহিক সন্দেহ,
লাঞ্ছিত হ’বেন তিনি দেশবাসী কাছে।
বিশেষতঃ হইয়াছে বয়স তাঁহার।
আজীবন করেছেন ধন উপার্জন,
নানাবিধ অত্যাচারে, অবিচারে আর।
আর ক’টি দিন? কিবা যাবে সঙ্গে তাঁ’র?
ফিরিল তাঁহার মতি। তাই ঠাকুরের
সম্পত্তি ফিরায়ে দিতে করিলেন স্থির।
অনেক ভাবিয়া, শেষে এক দান-পত্র
শ্রীধরের নামে তিনি রাখিলেন লিখে,
শ্রীধরে ফিরা’য়ে দিয়া সমস্ত সম্পত্তি।
 পূর্ণ কীর্ত্তি ইব্রাহিম অন্য দিকে আর,
মাথট করিয়া অর্থ তুলিল অনেক,
শ্রীধরের ভিটাখানি করিতে উদ্ধার।
একদা তাহারা সবে হ’ল উপস্থিত
বিশ্বাস বাবুর গৃহে। বলিল তাঁহারে,
লইয়া তাঁহার প্রাপ্য, দয়া করি দিতে
শ্রীধরের ভিটাখানি ফিরা’য়ে তাঁহারে।