পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
ইন্দুমতী।

উভয় জীবন এবে বিপরীত পথে,
অনুকুল স্রোতবেগে চলেছে ভাসিয়া
উভয়ে বুঝিল তাহা পুনঃ এক সাথে,
মিলিতে পারেনা কভু একত্রে আসিয়া।

নবীন থাকেন ব্যস্ত সমস্ত সময়
বিষয় কর্ম্মেতে তাঁ’র, নাহি অবসর;
কর্ত্তব্যের অনুরোধে দুই চারি কথা
কহেন পত্নীর সাথে সময় অন্তর।

নবীনের জায়া সেই রাধিকা সুন্দরী,
পুস্তক,সীবনী,আর লইয়া বিলাস,
কাটাইয়া দেন তাঁ’র সুদীর্ঘ সময়,
তাঁহার নাহিক স্বামী সোহাগের আশ।

দেবব্রত গুণে মুগ্ধ হইল নবীন,
প্রতিভা দেখিয়া তাঁ’র হ’ল চমৎকৃত;
শুনিয়া তাঁহার সব জীবন কাহিনী
তাঁহার দুঃখেতে হ’ল বড়ই দুঃখিত।

গুণগ্রাহী পরস্পরে পরস্পর গুণে
উভয়ের মধ্যে হ’ল সুদৃঢ় প্রণয়;
একত্রে লাগিল কাজ করিতে উভয়ে,
এরূপে কাটিল দুই বৎসর সময়।