পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
ইন্দুমতী।

অনুমানে করি ভর, ধীরে নিজ কর
ধরিলেন সুন্দরীর নাসিক উপর।
বুঝিলেন ধীরে ধীরে, অতি ধীরে ধীরে
তখনো পড়িতেছিল তাঁহার নিশ্বাস।
তখনো রয়েছে, তাঁর জীবনের আশ।
 তখনি চমকি উঠি কহিলা দাসীরে,
“ত্বরা ডাক ভৃত্য চারি খাটিয়া সহিত,
আর বৈদ্যে”। এই বলি বসিলা রাণীমা
সেই সুন্দরী শিয়রে। তুলিয়া মস্তক
লাইলা আপন কোলে। কি সুন্দর আহা!
মূর্ত্তিমতী দয়া দেবী আর্ত্তজনে যেন
লাইলা আপন কোলে। কত স্নেহ ভরে,
সংসারে জাগ্রতা দেবী স্নেহময়ী মাতা
তুলিয়া সন্তানে যেন লাইলেন কোলে।
স্নেহ দয়া সমব্যথা তুল্য কিবা আর
জগতে সুন্দর আছে? এ সৌন্দর্য্য হায়
আজিকে বিলুপ্ত প্রায়। কি দুঃখের কথা!
 তুলিয়া আপন অঙ্কে মন্তক তাহার,
নিবিড় কেশের দাম লাগিল গুছাতে।
রক্তিম অধর পুট সযত্নে ধরিয়া
ফুৎকার লাগিল দিতে রাণীমা তাহাতে।
কভু বা অঞ্চল দিয়া মুছান মস্তক,