পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতিয় সর্গ।
২৩

এত যত্ন এত সেবা যায় বুঝি আজ,
বিফলে সকল হায়! মরণের কোলে,
গভীর আঁধার পথে ভাসিতে ভাসিতে,
যে জন অজানা কোন দূর দেশ হ’তে,
কে জানে অজানা কত হৃদি ব্যথা লয়ে,
আসিল তাঁহার দ্বারে, তাঁহার আশ্রয়ে,
জুড়াইতে জীবনের মরণের জ্বালা,
নারিলা তাহার প্রাণ রক্ষা করিবারে,
ঢালিতে তাহার প্রাণে শান্তি সুধাধারা,
করুণার ঝারা আর স্বরগের আলো,
মুছাতে মরম ব্যথা সমব্যথা দিয়া,
তাই রাণীমার চক্ষু পূর্ণ অশ্রুজলে।
 এরূপে কাটিল আরো দীর্ঘ সপ্ত দিন,
আশার আলোকে কভু নৈরাশ্য আঁধারে।
অচেতন ভাবে ইন্দু রহিল পড়িয়া
মরণের কোলে সেই শয্যার উপরে।
কভু বা ভয়েতে ইন্দু উঠিছে চমকি
বিকারে দেখিয়া সেই নদী বিভীষিকা,
দেখি প্রকৃতির সেই ভীষণা মুরতী,
গভীর আঁধার সেই তরঙ্গ কল্লোল,
মেঘের গর্জন সেই ঝটিকা নিশ্বাস,
শ্রবণ ভৈরব সেই কালের বিষাণ,