পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ সর্গ।
৩৫

মুমূর্ষুর মত ছিল পড়িয়া সৈকতে।
 পুত্রের সাহায্যে তুলি নিজ তরিপরে,
আনিল ধীবর তারে আলয়ে আপন।
শুশ্রুষায় ক্রমে ক্রমে হইয়া সবল,
ধীবরে কহিল যুবা সব পরিচয়।
দুর্যোগে তরণী তার ডুবেছে সলিলে,
ডুবেছে বনিতা তার ডুবেছে সকলি।
আরোগ্য হইয়া যুবা ছিল কিছু দিন
ধীবর নিকটে তথা। করিত সন্ধান,
নদীর উভয় কূল, গ্রামের ভিতর,
নদীর সৈকতে আর আশে পাশে তার।
হতাশ হইয়া শেষে গেছে চলে যুবা,
সুবর্ণ অঙ্গুরী তারে দিয়া পুরস্কার,
বলে গেছে “যদি বাঁচি দেখা হবে পুনঃ
তখন ধীবরে দিব যোগ্য পুরস্কার।”
 সংবাদ পাইয়া এই রাণীমার চর,
ধীবরে লইয়া সেই অঙ্গুরী সহিত,
উপস্থিত হ’ল আসি রাণীমা প্রাসাদে।
অঙ্গুরী দেখিয়া ইন্দু মুহূর্ত্তে চিনিল,
পতির অঙ্গুরী তার। দর দর ধারে,
বাহিতে লাগিল অশ্রু নয়ন হইতে।
রাণীমা অঙ্গুরী রাখি যোগ্য পুরস্কার,