পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
ইন্দুমতী।

সহসা পীড়িত রাণী হলেন একদা-
প্রথমে সামান্য পীড়া, জ্বর, শিরঃ ব্যথা।
কে জানে ইন্দুর মনে হ'ল কেন ভয়।
সব কাজ রাখি দূরে তন্ময় হইয়া
রাণীমা সেবায় তিনি হইলেন রত।
তৃতীয় দিবসে হ’ল ভয়ের কারণ।
চতুর্থ দিবসে বৃদ্ধ পুর কবিরাজ
বুঝিল নাহিক আর জীবনের আশা।
চতুর্থ দিবসে প্রায় নিশা অবসানে,
ইঙ্গিতে সরায়ে দূরে ছিল যা’রা তথা,
রাণীমা ইন্দুর হাত ধরিল চাপিয়া।
ইঙ্গিত বুঝিয়া ইন্দু নত করি দেহ
শুনিল রাণীমা তা’রে বলিলেন ধীরে
অতি চুপে চুপে। “মাগো! ফুরাইল দিন,
চলিলাম আমি এবে জীবনের পারে।
বলিবার ছিল যাহা বলেছি তোমায়;
মনে রেখে সব কথা ভুলনা কখন।
গুটি দুই অন্য কথা শুন মন দিয়া।
বড় সাধ ছিল মনে তোমার পতির
হাতে দিয়া যাব তোমা। পূরিল না তাহা।
কেঁদোনা মা তুমি, পতি পাইবে নিশ্চয়
অনতিবিলম্বে। শুন। নব অট্টালিকা