পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম সর্গ।
৭৫



অচিরে সম্পন্ন করি কাজ আপনার,
অনন্ত জীবন লভি গিয়াছে চলিয়া
পুণ্যময় স্বর্গধামে,স্থানে আপনার।
তা’র জন্য বৃথা দুঃখ,তাহার পুণ্যেতে
হ’ব সবে পুণ্যময়,তেজে তেজোময়।”
 একি গরিয়সী কথা! চমকিলা ইন্দু।
বুঝিলা মানবী নহে মাতা পঙ্কজিনী।
সম্ভবে দেবীর হেন,হেন দেব পুত্র।
কিন্তু বহুক্ষণ সেই নির্জ্জন প্রাঙ্গণে,
পঙ্কজিনী বুকে মুখ চাপি ইন্দুমতী
কাঁদিলেন,পুত্রহারা জননীর মত।
হইল অনেক কথা। কতক্ষণ পরে
উভয়ে উঠিয়া গেল যথায় নগেন্দ্র,
পুত্রশোকে জর জর,বিশুষ্ক মলিন,
অনুতাপানলে দগ্ধ, দীন হীন বেশে,
তৃণাসনে বসি একা ছিলেন বাহিরে,
অট্টালিকা পুরোভাগে,সেই চন্দ্রালোকে।
তাঁহাকে দেখিয়া ইন্দু হইল কাতরা,
উথলি উঠিল অশ্রু নয়নে তাহার।
পঙ্কজিনী বাক্য শুনে উঠিয়া নগেন্দ্র
আছাড়ি পড়িল ইন্দু চরণ সমীপে।
“ক্ষমা কর দেবি মোরে, ঘোর মোহবশে