পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। ইন্দ্রচন্দ্রের দৌরাত্ম্য। গোপাল আমার ক’চিখোক, আঁধার ঘরের জোনাকীপোকা । , প্রাচীন গীত । । বৈশাখ মাসের কাঠফাট রৌদ্র-ঘরের বাহির হয় কাহার সাধ্য। বৃষ্টির অভাবে ধান্তক্ষেত্র সকল ফাটিয়া সাত খণ্ডে বিভক্ত হইয়াছে। পথঘাট জন শূন্য, শব্দ মাত্র নাই –কচিৎ দুই এক জন গ্রাম্য লোক মাথায় মোট করিয়া মাঠের উপর দিয়া গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করিতেছে ; আর মধ্যে মধ্যে কাঠঠোকুর পার্থীর কুড়র কুড়র শত্র গুনা যাইতেছে । গরু বাছুরের জালায় গ্রামস্থ প্রায় সকলেরই সদর দ্বার রুদ্ধ ; কেবল জর্মীদার চন্দ্রশিখর চট্টোপাধ্যায়ের দ্বার মুক্ত রহিয়াছে । গরু বাছুরে তাহার কোন ক্ষতি করিবার সস্তাবনা নাই-কারণ হরে খানসাম৷ স্বারে উপবিষ্ট । • মধ্যাহ্নাহারের পর క్ష్ মহাশয় বৈঠকখানার উপাধানে মস্তক রাখিয়া অৰ্দ্ধ শায়িত অৰ্দ্ধ উপবিষ্ট ভাবে অৰ্দ্ধ নিমিলিত নেত্রে নিদ্রামগ্ন-ধৈবতে পঞ্চমে নাসিক্যধ্বনি হইতেছে। সেবককে নিদ্রামোহে অচৈতন্ত দেখিয়া তামাকুমুদরী মনের ছঃখে আত্মঘাতিনী হইতেছেন-অভিমানে আলবোলার নল ওষ্ঠ পরিত্যাগ করতঃ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ বছর উপর লম্ব