পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

始 উনবিংশ পরিচ্ছেদ । > >s অপরাপর ব্যবসারে বিক্রেতার সংখ্য অধিক বলিয়া বিক্রেতার নিকট ক্রেতার আদর আছে ; ক্রেত মাল লউক বা না লউক অfদর অভ্যর্থনীর ক্রট নাই কিন্তু এ ব্যবসায় সে কাপ নহে ; ইহার বিক্রেতার সংখ্যা এক স্থানে অধিক নাই,—একরূপ একচেটিয়া ব্যবসা বলিলেই হয়, সেই জন্য এখানকার বিপরীত }দর । অপরাপর ব্যবসায়ে স্বয়ং বিক্রেতা ক্রেতাকে ডাকিতেছেন “আসুন মহাশয় আমার দোকানে আসুন ; নেন না নেন একবার দেখে যান আর এখানে বিক্রেতার ভূত্য ক্রেতাকে ডাকিতেছে “আসামী শীলারাম বডয়া হাজির ; এ শালারাম! “আসামী লালারাম সে সময়ে গাছ ত লায় বসিয়া তামাকু থাইতে ছিলেন, শালারাম শব্দ কর্ণে প্রবিষ্ট হইবা মাত্র হু কা ফেলিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে দোড়িয়া বিক্রে তার দ্বারে উপস্থিত হইলেন ; বিক্রেতার ভূত্য ও “তোর নাম শালারাম” বলিয়া লালারামকে গলা ধাক্কা দিতে দিতে কাঠগরার মধ্যে পুরিল । বিচারক রূপী বিক্রেতা বিচার বিক্রয় করিলেন ;–লালারাম কালাচাদ মোদকের দোকান হইতে জল খাবার দ্রব্য অপহরণ করা অপরাধে দুই বৎসরের জন্য জেল বাস । লালারামের উকিল রূপী দালাল র্যাহাকে লালারাম পায়ে হাতে ধরিয়া দাড় করাইয়) ছিলেন, তিনি বিচারককে অনেক বুঝাইলেন যে, লালারাম অপহরণ করিবার মানসে কালীর্চাদের দ্রব্য লয় নাই ; তিন দিন পর্য্যন্ত লালারাম না থাইতে পাওয়ায় প্রাণের দায়ে একটা মিষ্টান্ন দোকান হইতে তুলিয়া 壽山 আর এব্যক্তি চোর নহে ; এখানে অর্থের চেষ্টায়ু আসিয়াছে, দেশে বাড়ী ঘর স্ত্রী পুত্রাদি সকলেই আছে, এবং ভদ্রসস্তান । বিচারক সে কথায় কান দিলেন না ; লালারাম দুই বৎসরের জন্য জেলে গেল