পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 ইন্দ্রচন্দ্র । দক্ষিণ হস্তটা কবিরাজ মহাশরের দিকে তুলিয়া ধরিলেন । কবিরাজ মহাশয় সেতারের পরদা টিপিবtর ন্যায় অনেকক্ষণ পর্য্যস্ত নিজের অঙ্গুলীত্রয় নাড়িয়া নাড়ী পরীক্ষা করার পর একটা বচন আবৃত্তি করিলেন “নবজরে যদি পেট ফঁাপে, তবে রসসিন্ধু বড়ি খাওয়াইয়া দিবেক”কবিরাজ মহাশয় একে পূর্ব্বদেশীয় তাহাতে আবার একটু পোন সুতরাং তাহার বচন তিনি ব্যতীত অপর কেহই বুঝিতে পারিল না । তলপী হইতে একট। ৰটিক হরিচরণের হস্তে দিয়া কবিরাজ মহাশয় বলিলেন “নাড়ীটার হংস গতি হয়েচে, তা এই বড়িটা আদার সন্তু পুনর্ণবার রস দিয়া খাইয়ে দিও ; আমি এখন আসি” করিরাজ মহাশয় বাহিরে আসিলেন, হরিচরণও পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিয়া পথে কবিরাজ মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন “কেমন দেখলেন মহাশয় ?” কবিরাজ মহাশয় বলিলেন “বড় ভাল নয় ; হয় রাত্রি আড়াই প্রহর না হয় ভোর ** “তবে আর এ ছাই ওষুধ কেন” বলিয়া হরিচরণ হস্তের ঔষধ ফেলিয়া দিয়া কঁদিতে লাগিল । “অহা করকি, কর কি, ঔষধটা থtওয়াওগে’ বলিয়। কবিরাজ মহাশয় ভূমি হইতে কুড়t. ইয়া হরিচরণের হস্তে দিলেন । হরিচরণ চক্ষু মুছিতে মুষ্টিতে ঔষধ হস্তে বাটীর ভিতর প্রবেশ করিল আর “তাইত দর্শনীট দিলে না বে”বলিতে বলিতে কবিরাজ মহাশয় প্রস্থান করিলেন । হরিচরণ বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলে ; লীলাবতী ব্যস্ত হইয়া জি জ্ঞাসা করিলেন “কবিরাজ কি বল্লেন হরি ?” হরিচরণ আসল কথা কিছুই ভাঙ্গিল না; বলিল “আদার সত্ত আর পুই খাড়া দিয়ে এই ঔষধটা খাওয়াতে বল্লেন ।’ একে হরিচরণের মনের স্থিরতা নাই, তাহার উপর কবিরাজ মহাশয়ের থোন কথা