পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ । ১২৭


مصحعیسی مسیر

কুল, কৃষ্ণ নগর, গৌরাঙ্গ পুর, প্রভৃতি স্থানের লোকেরা যদি নৌকায় সুবিধা না হয় এই জন্য বাদার ইঁটাপথে পিপীলিকার সারী দিয়াছে ; যাত্রীর সংখ্যা অধিকাংশই স্ত্রীলোক । অদ্য বেল তিনটা সাতাইস মিনিট নয় সেকেণ্ডে ঈশান কোণে স্পর্শ নদের পজিতে লিখিয়াছে । কিন্তু ঐরামপুরের মত ; তিনটা সাতান্ন মিনিট বার সেকেণ্ড গতে ঈশানে স্পর্শ, আট দণ্ড স্থিতি, তৎপরে মোক্ষ । সে যাহক,গ্রাহকারের তাহাতে কিছু আসিয়া যায় না ; কারণ আফিস বন্ধ হয় নাই। তিনট বাজিল, ক্রমে সওয়া তিনটা গ্রহণ লাগিবণর আর এগার মিনিট আছে ; এই আর আট মিনিট । থালায় জল রাখিয়া, কাচের এক ধারে কালি পড়াইয়। অনেকেই হাড়ি ফেলিবার ভয়ে গ্রহণ হয় কি ন৷ তাহাই পরীক্ষা করিবার জন্য সুর্য্যের দিকে হঁ। করিয়া চাহিয়া আছেন । গ্রহণ হউক বা না হউক কলিকাতাবাসী প্রায় সকলের দুই চারি কুনকে চাউল বাচিয়া গিয়াছে ; থাইলে পাছে গঙ্গাস্নান করিয়া ও স্বৰ্গপথ রোধ হয়, এই ভয়ে স্ত্রীলোক মাত্রেই অদ্য অনাহারী তবে শিক্ষিতাদিগের কথা ধর্ত্তব্যের মধ্যে নহে—এগারই মাঘ তাহদের মুঠার ভিতর । আর তিন মিনিট বাকি । ক্রমে দুই—এই এক—পে পে। ঝন ঝন শব্দে শাক ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। “অন্নদান বস্ত্রদান সোণাদান রুপাদান বৈকুণ্ঠে স্থান” শব্দে কাঙ্গালীগণ উদ্ধশ্বাসে গঙ্গাতীরাভিমুখে ছুটয়াছে। অৰ্দ্ধসের চাউলে এক পয়সার কড়ি মিশাইয় তাহারই সাহার্য্যে আজ অনেকেই দাতা ; তাহারই যৎকিঞ্চিৎ পাইবার জন্য কাঙ্গালীগণ মহা বিব্রত “বাবু আমাকে দও, ম আমাকে গো, এই দিকে তোমার কানা বাবা গো মা আমাকে দাও” বলিয়। দাতাকে মধুচক্রের ন্যায় বিরিয়া