পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । ২৯ দিইনা।” বলিয়া মুী মহাশয় মুখ প্রক্ষালন জন্য উচ্ছিষ্ট পাত্র হস্তে পুকুর ঘাটে নামিয়া গেলেন, রাজকুমারও গন্তব্য পথে চলিল । রাজকুমার গ্রাম পার হইয়া মাঠের উপর পড়িল । এইট গৌরাঙ্গপুরের মাঠ। রাজকুমার মাঠ পার হইয়া এক গ্রামের ভিতর প্রবেশ করিল। গ্রামের নাম সোনাটিকুরী । সোনাটিকৃরী গৌরাঙ্গপুর হইতে এক ক্রোশ ব্যবধান। গ্রামের ভিতর প্রবেশ করিয়া রাজকুমার এক দ্বিতল ইষ্টকালয়ের স্বারে দাড়াইয়া ডাকিল, “বন্ধু বাড়ী আছ হে ?” একবার, দুইবার, তিনবার, রাজকুমার প্রাণপণে চিৎকার করিল ; কিন্তু কোথায় বা বন্ধু আর কোথায় বা কে । বন্ধু আহারাস্তে নিদ্রা বাইতেছিলেন ; অনেক ডাকাডাকিতে কর্ণে শব্দ প্রবেশ করিল,শয়নাবস্থাতেই একজন ভূত্যকে ডাকিয়া বলিলেন, “তুপুর বেলা কে ডাকাডাকি করে দেখতে রে” ভৃত্য বহিদ্বারে আসিয়া রাজকুমারকে বলিল, “কাকে ডাক্‌চে গো ?” রাজকুমার ধীরে ধীরে বলিল, “শ্যাম বাবুকে বলগে যে, গৌরাঙ্গপুর থেকে তোমার বন্ধু দেখা কোর তে এসেচে ; বিশেষ দরকার।’ ভৃত্য বাটীর ভিতর প্রবেশ করিয়া মনিবের নিকট রাজকুমার ঘটিত আনুপূর্ব্বিক বৃত্তান্ত বর্ণন করিল। শুনিয়া শুামবাৰু ভৃত্যকে বলিলেন, “বলগে যা বাৰু বাড়িতে নাই।” যেরূপ স্বরে শ্যামবাবু ভৃত্যকে,“বলগে যা বাবু বাড়ি নাই” অনুমতি করিলেন ; তাহাতে ভৃত্যকে রাজকুমারের নিকটে আসিয়া আর শুনাইবার আবগুক হইল না ; নীচে দাড়াইয়া