পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলকে আহার করাইল। রাজকুমার অর্ধের চেষ্টার বাহির হইল। ভগিনী আবার পাড়া বেড়াইতে গেল ; শিশুপুত্র খেলায় মনে নিবেশ করিল, কেবল রাজকুমারের স্ত্রী আহার করিল না। মনে মনে ইচ্ছা, শাশুড়ী রাগ করিয়াছেন ;-আসিলে উভয়ে একত্রে জাহার করিবে । দেখিতে দেখিতে অপরাহ্ল হইয়া আসিল, কিন্তু শাগুড়ী অসিলেন না । রাজকুমারের স্ত্রী কিছু উদ্বিগ্ন হইল । জ্যেষ্ঠ পুত্রকে প্রতিবেশী জুই চারি জনের বাড়ীতে পাঠাইয়। শাশুড়ীর সংবাদ লইল, কিন্তু কেহই কোন সংবাদ বলিতে পারিল না ; অগত্য সন্ধ্যাকালে আপনি কিছু খাইল । সন্ধ্যার পর রাজকুমার গৃহে অসিয়া মাতার সংবাদ লইল । শুনিল মান্ত আইসেম নাই। হঠাৎ রাজকুমারের মনের ভাব পরিবর্ত্তিত হইল। স্ত্রী জিজ্ঞাসা করিল, “এমন করে বসলে যে, মুখে হাতে জল দাও।” “মনটা বড় ভাল নাই’ বলিয়া রাজকুমার স্ত্রীর কথtৱ উত্তর দিল । রাজকুমারের স্ত্রী ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল,“অসুখ হয়েছে কি? না হয় ঘরে গিয়ে শোওগে না; আমি পা হাত টিপে দিচ্চি।” রাজকুমারের স্ত্রী স্বামীর কপালে হস্ত দিয়া উষ্মত। অনুভব করিল। “ন ছায়। এ সে অসুখ নয়, এ অমুখ সহজে যাবার নয়, হাত পা টিপে কাজ নাই, পার তো একটু বিশেষ জোরে আমার গলাটা টিপে ধর, একেবারে সকল অসুখ—সকল জ্বালা যন্ত্রণ দিবৃত্তি হ’ক্‌ ৷” রাজকুমারের স্ত্রীর নাম ছায়ামী । ছায়াময়ীকে রাজকুমার আদর করিয়া ছায়া বলিয়া ডাকিত । রাজকুমার হস্ত ধরিয়া এই কএকটা কথা বলিয়া চুপ করিল। কণ্ঠস্বরে বোধ হইল রাজকুমার কাদিতেছে।