পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o ਝੋਲ਼ i কিছু পাড়া করিতে পারে বলিয়। মনে কতকটা শাস্তিমুখ উপভোগ করে । কিন্তু যে অভাগ, বস্তুর অর্কীত চিত্তায় চিস্তিত ;~~ কোথায় যাইবে,—কি করিবে,—কিছুই স্থিরক্ত নাই--শাস্তিমুখ তার নিকট হইতে শত ষোজন দূরে পলায় । আমাদের অভাগী রাজকুমার এই বস্তুর অতীত চিন্তায় চিস্তিত, তাই রাজকুমারের মনে শান্সি নাই । রাজ কুমারের স্ত্রী ছায়াময়ীর বস্তুগত চিন্তা,“রাজকুমার ভাল থাকুক, যেখান হইতে হউক আনিয়া যোগাইবেই”—এইজন্য রাজকুমারকে যাইভে নিষেধ করিয়াছিল আর রাজকুমারের চিস্তা বস্তুর অতীত – “কোথায় যাইবে” এইজন্য নিষেধ মানিল না ; ঘোর অন্ধকারে একাকী গৌরাঙ্গ পুরের ডাকাতে মাঠের উপর দিয়া চলিল । . রাজকুমার শূন্যপদে মাঠের আলের উপর দিয়া চলিয়াছে ; মনে মনে বলিতেছে, "ভগবান মেন দেখা পাই” গৌরাঙ্গ পুরের ডাকাতে মাঠ উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত । মাঠের পরেই একখানি ক্ষুদ্র গ্রাম ; গ্রামের নাম সেনহাট। মাঠ পার হইয়া রাজকুমার গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করিল । রাত্রি প্রায় আটটা বাজিয়াছে ; ইহারই মধ্যে গ্রাম যেন জন শূন্য ; কেবল গ্রাম্য কুকুরে ঘেউ ঘেউ শব্দ করিতেছে। রাজকুমার পথের বাম দিকে একখানি উদ্যা, নের ভিতর প্রবেশ করিয়া উদ্যান গৃহের দ্বারে দাড়াইয়া মৃদুস্বরে ডাকিল “মাষ্টার মহাশয় মাছেন ।” গৃহের অভ্যস্তর হইতে বিকৃতস্বরে শব্দ হইল, “কে বাৰ, স্বাদ না কি ? দুপুর রেতে কোথা থেকে বাবা ? এস চাদ এস।” প্রতিশব হইল, “আরে চুপ চুপ ? কি মাতলামী কর ? ওর সঙ্গে আবার বিশেষ আবগুক এইজন্স ডেকে পাঠিয়েছিলাম ;