পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీచి ইন্দ্রচন্দ্র । মাষ্টার মহাশয় কপাট খুলিয়া দিলেন ; একটা বোতল হণ্ডে গুরু মহাশয় গৃহে প্রবেশ করিয়া মাষ্টার মহাশয়কে বলিলেন, “অনেক কষ্টে চার পয়সা বেশি দিয়ে তবে পেয়েচি। বেটা কি দেয় P শুtমবাৰুর হস্তে বোতল দিয়া গুরু মহাশয় টেক হইতে এক খণ্ড কাগজে মোড়ক করা একটা কি দ্রব্য বাহির করিয়া টিপিতে বসিলেন”। - হামবাবু গুরুমহাশয়কে বলিলেন “এরাত্রে গাজা কোথায় পেলে ?” গীজার কথা শুনিয়া পোষ্ট মাষ্টীর বাবু বলিয়া উঠিলেন, “ছোড় দেও পড়েজি ছোট বাত। দুশো এক শোর কথা কও, আাধ পয়সার নেশার মাথায় মার বাট । এক দিন থেয়ে দেখিছি বাবা ; বেটার নেশা যেন বুদ্ধদেব করে তোলে । নেশা করতে হয় তো মদ খাও ! দেখ, যে গুলি খায় তাকে লোকে বলে গুলিথোর, যে গেজাখায় লোকে তাকে বলে গেজাখোর, যে আফিঙ্গ খায় তাকে বলে আফিঙ্গ থোর, আর যে মদ খায়, তাকে বলে মাতাল ; অর্থাৎ যার মাথায় আলো আছে ; ইংরাজিতে যা কে বলে ‘এনলাইটেন ।” পোষ্ট মাষ্টার বাবু গাজীকে গেজ বলায় গুরু মহাশয়ের প্রাণ খারাপ হইয়া গেল । বলিলেন, “অঙ্গর নেকচারে কাজ নাই, যা ক’লে তাই কর । এখন কথার জাড় ভাঙ্গেনি, গtঞ্জাকে গেজ বলচে । নেশা সবই সমান, মদই বল আর গাজাই বল, তফাৎ কিছুই নাই। শুামবাবু বলিলেন, “একটু আছে যদি রাগ না করেন তো বলি ।”