পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 e r हेटझध्ठछ । “উঠি মহাশয়’ বলিয়া রাজকুমার উঠিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু পারিল না—আবার গুইয়া পড়িল । বলিল, “মহাশয় একটু জল দিতে পারেন, তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্চে ।” “কিছু নয় খোয়ারী হয়েচে ; এখুনি সেরে যাবে, আপনি উঠুন’ বলিয়৷ পোষ্টমাষ্টার বাবু গৃহমধ্যস্থ মৃৎকলস হইতে এক ঘটী জল লইয়া নিজে মুখ প্রক্ষালন করিয়া পুনরায় রাজকুমারের পাশ্বে উপবেশন করিলেন । “উঠবো কি মহাশয় মাথা যে খসে যাচ্চে ” বলিয়া রাজ কুমার পাশ্ব পরিবর্তন করিলেন । “উঠে বসুন ; অৰুধ দিচ্ছি—এখনি সরে যাবে’ বলিয়া পোষ্টমাষ্টার বাবু রাজকুমারের হস্ত ধরিয়া বসাইয়া দিলেন । রাজকুমার মাথায় হস্ত দিয়া বসিল । পোষ্টমাষ্টার বাবু বোতল হইতে এক গ্লাস মদ ঢালিয়া রাজকুমারের হস্তে দিলেন । বলিলেন, “চো করে এই টুকু মেরে দাও, এখনি সমস্ত অসুখ সেরে যাবে i** “মাপ করুন মহাশয়, ঐ ছাই খেয়েই আমার মাথা থ’সে যাচ্চে, আবার তাই খেতে বলচেন ?” রাজকুমার তক্তাপোষের উপর গ্লাস রাখিয়া দিল । - “এঃ ! আপনাকে নিয়ে ঢের ভুগতে হবে দেখ চি । আপনি কিছুই জানেন না। আপনার যে রোগ হয়েচে, তাতে এলোপ্যাথিকে কোন কাজ হবে না ; এতে হোমিওপ্যাথিক চাই ; এই জন্যই বলচি চে করে এই টুকু খেয়ে ফেলুন। “সিমিলিয়। সিমিলিবস কিউরেনগর । যাকে বাঙ্গলায় বলে বিষপ্ত বিষমেষধং । হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র হচ্ছে এই ।” পোষ্টমাষ্টার বাবু আবার রাজকুমারের হস্তে মদের গ্লাস দিলেন ।