পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । । \ss হাহাকার করিতেছে ; তখন তিনি ধর্ম্মের মুখ চাহিয়া কতক্ষণ বসিয়া থাকিতে পারেন। পৌরাণিক হরিশ্চন্দ্রের কথা শুনিব না ; মানব সহিষ্ণুতার উচ্চ শিখর অতিক্রম না করে, এমন কথা হইলে শুনিব । কেহ পারেন, বা পারিয়াছেন ? যদি তাহা না হয়, তবে ভিনি রাজকুমারের জন্য দুঃখ করিতে বাধ্য। কিন্তু যে ধর্ম্মধবী দুঃখ করিব না প্রতিজ্ঞ করিয়া বসিয়াছেন, তিনি অনুগ্রহ করিয়া এইখানে পাঠ বন্ধ করুন । রাজকুমার অনেক সহ করিয়া তবে এমন কর্ম্ম করিয়াছে । দারিদ্র যন্ত্রণার উপর ঋণদায় ;– একথা কল্পনায় আসিলেও আত্মঘাতী হইতে ইচ্ছা করে। ভূক্তভোগী ব্যতিত অন্যে শত চেষ্টা করিলেও বুঝিতে পরিবে না । উত্তমণ এবং উদরাল্পের থাতক হইয়। ঘিনি সমাজের অটল ভাবে আছেন তিনি ধন্ত । রাজকুমার কিন্তু তাহ পারে নাই। পূর্ণব্রহ্মরূপ অগ্নি স্বাক্ষাতে পবিত্র বেদমন্ত্র উচ্চারণ করিয়া যাহাকে ভরণপোষণ করিব প্রতিজ্ঞ করিয়াfছল সেই স্ত্রীর জন্ত, প্রাণের প্রাণ পুত্রদিগের জন্তু রাজকুমার জমিদার চন্দ্রশিখর চট্টোপাধ্যায়ের উইল জাল করিয়াছে ; এই পাপে যদি তাহার আত্মা স্বর্গে না যায় তাহাতে কোন ক্ষতি নাই—সমাজের নিয়ম ভঙ্গ হইয়। থাকে, নাচার । রাজকুমার ষে আশায় জমিদার মহাশয়ের উইল জাল করিয়াছিল, সে আশা পূর্ণ না হইয়া বরং উন্ট হইল। এখন রাজকুমার প্রাণের ভয়ে সদা সশঙ্কিত, কখন পুলিসে গ্রেপ্তার করিবে । সুচীপতনের শব্দ শুনিলে রাজকুমারের মনে হয় ঐ পুলিস আসিতেছে । না খাইতে পাইলেও স্ত্রী-পুত্র সহ গৃহে বাস রাজকুমারের পক্ষে ষম যাতনা হইয়া উঠিল । ষে স্ত্রী