পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ । ના


به بسیحیهایع

ছায়াময়ীর কথায় সরস্বতীর একটু অভিমান হইল ; মুখ ভার করিয়৷ বলিল, “তুমি বোমানুষ খোকাবাবুর সঙ্গে কথা কইতে পার না এই জন্যই আমাকে কথা কইতে হয়, নহিলে আমার কথা কবার আবশ্বক কি ? এই তোমার বেয়fরামের থরচ, সংসার খরচ,কথা ন কহিলে কোথায় পেতে ? কথা কয়ে র্তার কানে না তুললে তিনি তো আর জান হ’তেন না ?” ছায়াময়ী উত্তর করিল “ না ভাই ঠাকুরঝি, আমি বেয়ারামে মরে যাই সেও ভাল, না খেতে পাই দুহাত বুকে দিয়ে পড়ে থাকবো সেও ভাল, তবু তোমায় মিনতি করি তুমি আর অমন করে আড়ালে কথা কও না।” ‘কথা কবার জন্যে কার গরজ পড়েছে” বলিয়া সরস্বতী বিরক্ত ভাবে ছায়াময়ীর গৃহ ত্যগ করিয়া গেল । - রাজকুমারের বাটীর ভিতর ইন্দ্র চন্দ্রের গমনাগমন বৃত্তাস্ত প্রতিবাসীরা প্রথমে কল্পনা, তৎপরে জল্পনা, তৎপরে কানাকানি তৎপরে জানাজানি, শেষ মাঠ হইতে পুকুর ঘাটে আনিয়া জমিয়tৎবস্ত করিল এবং অচিরাং তথা হইতে পু টীর মার সাহায্যে পুটার বাপের কর্ণে উঠিল । পর দিবস প্রাতে: পুটর বাপ রামধন মিস্ত্রির দোকানে তামাক খাইতে গিয়া পু টার মার কথার উপর একটু রং চড়াইয়া গল্প করিলেন । শেষ গল্পট রামধন মিস্ত্রির দোকান হইতে রঙের উপর রসান হইয়। সর্ব্বসাধারণের সম্মুখে উপস্থিত হইল যে, সরস্বতীর হস্তের বালা জোড়াটা ইন্দ্রচন্দ্র রামধনের দোকান হইতে গড়াইয়া লইয়াছে । প্রকৃত কথা কিন্তু তাহা নহে ; সরস্বতী অল্পবয়সে বিধবা হইয়াছিল বলিয়। তাহার মাতা তাহাকে শূন্য হাত করিতে দেন নাই, এক জোড়া পিতলের বালা তাহার হাতে ছিল বটে ।