পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ఫి(t মরি মরি ? মন্ত্রের বালাই লইয়া মরিরে । এমন মন্ত্র কোন দেশে কোন কালে জন্মিয়াছে কি ?--হিন্দু বিবাহের ন্যায় একীকরণ আর কোন দেশে আছে কি ? ষে বিবাহে এমন মন্ত্র-মে মস্ত্রের অর্থ তোমার হৃদয় আমার হউক আমার হৃদয় তোমার কুউক, প্রাণে প্রাণে, অস্তিতে অস্তিতে, মাংসে মাংসে, চন্ত্রে চর্ম্মে এক হউক ; এখন সেই বিবাহ কি না কোর্টসিপে দাড়াইতেছে । যে মস্ত্রের অর্থ “হে ধ্রুব নক্ষত্র আমি যেন তোমার মত্ত পতিকুলে অচল হই’ আজ কিনা তাহাতে ডাইভেসে হইতেছে ! হিন্দুর অদৃষ্টে আর ও কি আছে কে জানে । যথানিয়মে বি বাহকার্য্য সম্পন্ন হইল ; বরকন্যা বাসৱে গেলেন । বরযাত্র এবং কন্য। যাত্রেরা সর্ব্বসাধারণের অজ্ঞাত্ত সারে কেহ জুতা পায়ে কেহ বা জুতা পশ্চাতে রাখিয়া—কারণ ৰfর পয়সার ফলার করিতে আসিয়া চোদ্দসিকার ঘটট হারাইতে নাকি প্রায় কেহ প্রস্তুত নহেন-চর্ব্ব্য চেtয্য, লেহ, পেয়, আচারাস্তুে যে যাতার ঘরে গেলেন । পরদিবস যথাশাস্ত্র অবশিষ্ট মাঙ্গলিক কার্য্য সমাধা করিয়া বরক ন্যা বিদায় হইল । বাদ্য ভাও সমভিব্যাহারে বরকন্য। আই বুড়ে পথ পরিত্যাগ করিয়া বাট অভিমুখে চলিল। বরের চুলির আওয়াজে বোধ হইতে লাগিল যেন মাওয়াজ বলিতেছে, “আমরা জিতে গেলুম” কস্তার বাটতেও ৰাদ্য ভাণ্ডের অভাব ছিল না ; কিন্তু তাছার সাইবে কোথায় ? সুতরাং সদরে বসিয়া বাজাইতে লাগিল, “গেলিতে গেলি; বয়ে গেল।” - ষষ্টি, মাকাল, পুরাতন বটগাছ প্রভৃতি গ্রাম্য দেবতাকে প্রণাম করিয়৷ যথা কালে বরকন্ত বাটতে পৌঁছিল। লীলাবতী